বেটউইনার সংশ্লিষ্ট তিনজনকে গ্রেপ্তারের বিস্তারিত সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেন সিআইডি কর্মকর্তারা। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

অনলাইনে জুয়ার সাইট বেটউইনার ডটকম পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি)। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানা এলাকা থেকে ৩১ আগস্ট (বুধবার) তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার তিন আসামির নাম আবু বক্কর সিদ্দিক (৩০), আব্দুল্লাহ আল আউয়াল (২৬) ও মো. তোরাফ হোসেন (৩৭)।

সিআইডি জানায়, সাইবার পুলিশ সেন্টারের নিয়মিত মনিটরিংয়ের সময় অনলাইনে জুয়ার প্ল্যাটফর্ম বেটউইনার ডটকম নামের একটি সাইটটি নজরে আসে। এরপর সিআইডির সাইবার ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট শাখা ছায়া তদন্ত শুরু করে। ছায়া তদন্ত শেষে সাইটটি পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত কয়েকজনকে সনাক্ত করে। এরপর ৩১ আগস্ট অভিযান চালিয়ে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানা এলাকা থেকে আবু বক্কর সিদ্দিক, আব্দুল্লাহ আল আউয়াল ও তোরাফ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অনলাইনে জুয়ায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গ্রেপ্তার তিন আসামি। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

বেটউইনারে জুয়া চলে যেভাবে

সিআইডি জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানিয়েছেন, একজন জুয়াড়ি মোবাইল নম্বর বা ইমেইলের মাধ্যমে এই বেটিং সাইটে বা অ্যাপসে অ্যাকাউন্ট খুলে একটি ই-ওয়ালেট তৈরি করে। এই ওয়ালেটে ব্যালেন্স যোগ করতে বিকাশ, নগদ, রকেট, উপায় এবং ট্রাস্ট এজিয়াটার মতো মুঠোফোনে আর্থিক সেবাদাতা প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে টাকা দিতে হয়। ন্যূনতম ৫০০ টাকা দিলে কিছুক্ষণের মধ্যে ই-ওয়ালেটে ব্যালেন্স যুক্ত হয়। এই ব্যালেন্স দিয়েই জুলা খেলা হয়।

মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের এজেন্টরা জমাকৃত টাকা বাইন্যান্স নামের মানি এক্সচেঞ্জ অ্যাপের মাধ্যমে মার্কিন ডলারে রূপান্তর করে। পরে বাইন্যান্সের মাধ্যমে এই টাকা বিভিন্ন দেশে পাচার হয়। গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা এই অবৈধ লেনদেনের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁদের কাছ থেকে ছয়টি মোবাইল ফোন, চারটি এজেন্ট সিম কার্ড, দুটি মার্চেন্ট সিম কার্ড, একটি ডিএসও (নগদ) সিম কার্ড, দুটি পার্সোনাল সিম কার্ড ও একটি ল্যাপটপ জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিআইডি।