মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের সার্বিক উন্নয়নে জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে বাংলাদেশ বেতারের ভূমিকা প্রশংসনীয়।
‘বিশ্ব বেতার দিবস’ উপলক্ষে সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। খবর বাসসের।
দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতারের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিল্পী, কলাকুশলী ও শ্রোতাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান শেখ হাসিনা। বেতার দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘শতাব্দী জুড়ে তথ্য, বিনোদন ও শিক্ষা বিস্তারে বেতার’ সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের প্রাচীনতম ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম বাংলাদেশ বেতার। বাংলাদেশ বেতার সূচনাকাল থেকে এই অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি, শিক্ষার প্রসার, নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাস, দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য বিশ্বদরবারে তুলে ধরাসহ দেশের সার্বিক উন্নয়নে অনবদ্য ভূমিকা রেখে আসছে।
তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে দ্বিতীয় ফ্রন্ট স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র ১৯৭১ সালে আমাদের মুক্তি সংগ্রামে অনন্য ভূমিকা পালন করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ তৎকালীন স্বৈরশাসকের বাধা উপেক্ষা করে ৮ মার্চ বেতারেই প্রচার করা হয়, যা মুক্তিকামী বাঙালিকে অনুপ্রাণিত করে। মুক্তিযুদ্ধের পুরোটা সময় বাংলাদেশ বেতার দেশের জনগণকে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করেছে।
সরকারপ্রধান ‘বিশ্ব বেতার দিবস-২০২৪’ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
