হ্যালো ওসির লোগো

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদ হাসানের স্মার্টফোনটি হঠাৎ হারিয়ে যায়। এই ফোন দিয়েই তিনি অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসে হাজির থাকতেন। ফোনটি হারিয়ে তাই থমকে গিয়েছিল তাঁর পড়ালেখা। এই অবস্থায় তিনি ‘হ্যালো ওসি’র সহযোগিতা চান। এক সপ্তাহের মধ্যে ফোনটি উদ্ধার করে জাহিদের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।

শুধু এই একটি ঘটনাই নয়, প্রতিদিনই এমন কিছু না কিছু ঘটনায় মানুষ দ্বারস্থ হচ্ছে হ্যালো ওসির। বিকাশ-নগদসহ মুঠোফোনে আর্থিক লেনদেনে কোনো সমস্যা, কিংবা কোনো অপরাধ সংঘটন ঠেকাতে হ্যালো ওসির যেন এখন মানুষের আস্থার নাম।

এই হ্যালো ওসির সেবা দিচ্ছে ময়মনসিংহের কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশ। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এই সেবা চালু হয়। এর মূল উদ্দেশ্য হলো বিপদে পড়া জনগণকে থানামুখী করা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, হ্যালো ওসি সেবা চালুর পর সদর উপজেলার বেশ কিছু জমি-সংক্রান্ত জটিলতা আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা গেছে। এ ছাড়া সেবা চালুর পর এ পর্যন্ত ২০০ হারানো মুঠোফোন উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এই সেবার উদ্যোক্তা ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান, বিট পুলিশিং অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি সেবা কার্যক্রম। প্রতি মাসে বিট মিটিংয়ে সেবাপ্রার্থী জনগণকে আমার সরকারি ও ব্যক্তিগত, উভয় মুঠোফোন নম্বরই দিয়ে আসি। এতে মানুষ সরাসরি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছে, অপরাধ দমন সহজতর হয়েছে। এভাবেই হ্যালো ওসির ধারণাটি এসেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, হ্যালো ওসি সেবার কারণে আগেভাগে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ প্রতিদিনই হাত থেকে আটটি অপরাধ সংঘটন ঠেকাতে পারছে। ২০ ফেব্রুয়ারি বিকাশের মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া টাকা পাবনা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এসব কারণেই হ্যালো ওসি সেবাকে গণমুখী আখ্যা দিয়েছেন ময়মনসিংহ জেলা নাগরিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. নূরুল আমিন। তিনি বলেন, এ সেবার মাধ্যমে পুলিশের সঙ্গে মানুষের দূরত্ব কমছে।