বক্তব্য দিচ্ছেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ছবি : বাসস

জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করে নয়, বরং জনসম্পৃক্ততা অব্যাহত রেখে রাষ্ট্রের অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (ভিভিআইপি) সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পিজিআরকে নির্দেশ দিয়েছেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

মঙ্গলবার (৪ জুলাই) সকালে ঢাকা সেনানিবাসে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) সদর দপ্তরে ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে তিনি এ নির্দেশ দেন। খবর বাসসের।

মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘আপনাদের মূল দায়িত্ব হচ্ছে ভিভিআইপিদের জন্য সর্বাত্মক, সমন্বিত ও নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। তবে নিরাপত্তার সঙ্গে সঙ্গে ভিভিআইপিদের জনসংযোগের বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব একদিকে যেমন গৌরবময়, তেমনি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর।’

বিশ্বায়ন ও তথ্যপ্রযুক্তির বর্তমান যুগে ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পিজিআরকেও তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ ও কৌশলগত উৎকর্ষ অর্জনের উপদেশ দেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি।

তিনি বলেন, পিজিআরের প্রত্যেক সদস্যকে হতে হবে আরও চৌকস ও দক্ষ, যাতে উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতি তাৎক্ষণিক দক্ষতার সঙ্গে মোকাবেলা করতে পারেন।

দায়িত্বের গুরুত্ব ও পরিধি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পিজিআরের সাংগঠনিক কাঠামো বাড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে মহামান্য রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আগামীতেও দায়িত্বের ব্যাপকতা বিবেচনা করে এই রেজিমেন্টকে আরও সুসংহত করার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’

রাষ্ট্রপ্রধান আশা প্রকাশ করেন, পিজিআর সদস্যরা ‘চেইন অব কমান্ড’-এর প্রতি সম্পূর্ণ আস্থাশীল থেকে তাঁদের ওপর অর্পিত নিজ নিজ দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করবেন।

প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের মান ও স্বকীয়তা বজায় রেখে রেজিমেন্টের অর্জিত গৌরব সমুন্নত রাখতে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।

পিজিআরকে সেনাবাহিনীর একটি বিশেষায়িত অংশ উল্লেখ করে মহামান্য রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, সেনাবাহিনী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যেকোনো দায়িত্ব নিষ্ঠা ও সফলতার সঙ্গে পালন করতে সক্ষম হবে।

পরে মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন পিজিআরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে একটি কেক কাটেন। এর আগে তিনি কোয়ার্টার গার্ড পরিদর্শন এবং পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন। সেখানে একটি গাছের চারা রোপণ করেন এবং ফটোসেশনে অংশ নেন তিনি।

এ সময় সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, পিজিআর কমান্ডার, মহামান্য রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবগণ এবং সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।