মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ছবি : বাসস

মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করা সরকারি কর্মচারীদের সাংবিধানিক দায়িত্ব।

‘জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস-২০২৩’ উপলক্ষে শনিবার (২২ জুলাই) দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। খবর বাসসের।

রোববার (২৩ জুলাই) ‘জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস-২০২৩’ উপলক্ষে প্রজাতন্ত্রের সব কর্মচারীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতি বলেন, জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করা সরকারি কর্মচারীদের সাংবিধানিক দায়িত্ব। এর পরিপ্রেক্ষিতে নাগরিক সেবা সহজ, সুলভ, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক করতে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের আরও বেশি জনবান্ধব ও আন্তরিক হতে হবে।

মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, জনপ্রশাসনের সব কর্মবিভাগে নিযুক্ত কর্মচারীদের সৃজনশীলতা, উদ্ভাবনী প্রয়াস, সেবা সহজীকরণ ও গঠনমূলক কার্যক্রমকে উৎসাহিত করতে ও সরকারের উন্নয়ন-অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক’ প্রদান একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। তিনি উদ্ভাবনী কর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ এ বছর জনপ্রশাসন পদকপ্রাপ্ত সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

মহামান্য রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘রূপকল্প-২০২১’-এর সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ এরই মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের চূড়ান্ত ধাপে পৌঁছেছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো মেগা প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে। সর্বোপরি সরকারের সময়োপযোগী ও দূরদর্শী সিদ্ধান্তের কারণে করোনা অতিমারির সময়েও বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল ছিল। ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ দৃশ্যমান।

তিনি বলেন, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণ এবং ২১০০ সালের মধ্যে বদ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এ পরিপ্রেক্ষিতে জনপ্রশাসনের কর্মচারীদের সততা, দক্ষতা, নিষ্ঠা ও সেবা প্রদানের মানসিকতার ওপর এসব পরিকল্পনার সফল বাস্তবায়ন বহুলাংশে নির্ভরশীল।

মহামান্য রাষ্ট্রপতি বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এর সম্ভাবনাগুলো জনগণের কল্যাণে কাজে লাগাতে জনপ্রশাসনের কর্মচারীদের দক্ষতা উন্নয়নে গুরুত্ব দিতে হবে।

তিনি ‘জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস-২০২৩’ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন।