ঢাকা জেলার মিল ব্যারাক পুলিশ লাইনসে মঙ্গলবার সকালে ঢাকা রেঞ্জাধীন বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের সঙ্গে বিশেষ কল্যাণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম। কোলাজ: পুলিশ নিউজ

ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম বলেছেন, আগামীতে স্বাভাবিক আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পুলিশের সক্ষমতা রয়েছে। জনগণের জানমাল রক্ষার্থে পুলিশ আইনানুগ দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত।

মঙ্গলবার সকালে ঢাকা জেলার মিল ব্যারাক পুলিশ লাইনসে ঢাকা রেঞ্জাধীন বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের সঙ্গে বিশেষ কল্যাণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আইজিপি।p

ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. কামরুল আহসান, স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. আতিকুল ইসলাম, ডিআইজি (অপারেশনস) মো. আনোয়ার হোসেন, ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামানসহ অনেকে বক্তব্য দেন।

সভায় ঢাকা রেঞ্জাধীন ১৩টি জেলার পুলিশ সুপার ও ৯৮টি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এবং বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আইজিপি বলেন, পুলিশ জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানের মাধ্যমে জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনে সক্ষম হয়েছে। পুলিশের প্রতি জনগণের প্রত্যাশা বেড়েছে। এ অবস্থা ধরে রাখতে পুলিশ সদস্যদের নিষ্ঠার সাথে দয়িত্ব পালন করতে হবে।

পুলিশ প্রধান বলেন, “আমরা একসময় দেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের উত্থান দেখেছি। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ছিল সন্ত্রাসের জনপদ। ৬৩ জেলায় একসাথে বোমা হামলা হয়েছে। এখন আমরা কি অবস্থা দেখছি? জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে পুলিশ দায়িত্ব পালন করায় দেশে জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শান্তিপূর্ণ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। দেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি হয়েছে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দেশের উন্নয়ন হচ্ছে।’

আইজিপি বলেন, ‘কোনো পুলিশ সদস্য কোনো ধরনের অপকর্ম করলে বা অপরাধের সাথে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তার দায়ভার পুলিশ বাহিনী বহন করবে না।’

সভায় উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা তাঁদের বিভিন্ন প্রস্তাব আইজিপির সামনে তুলে ধরেন। আইজিপি ধৈর্য ধরে তাঁদের কথা শোনেন এবং সম্ভাব্য সমাধানের আশ্বাস দেন।

পরে আইজিপি ঢাকা রেঞ্জের বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।