ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম বলেছেন, জনগণের আস্থা ও ভালোবাসার প্রতীকে পরিণত হয়েছে সিআইডি।
সিআইডির ১৩ তলা কনফারেন্স রুমে বুধবার সকালে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সকাল ১০টার দিকে সিআইডি হেডকোয়ার্টার্স পরিদর্শনে আসেন আইজিপি। ওই সময় তাঁকে স্বাগত জানান সিআইডির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বিপিএম, পিপিএম।
আইজিপি বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন।
পুলিশপ্রধান সিআইডির গত এক বছরের অর্জন নিয়ে প্রকাশিত ‘স্মার্ট ইনভেস্টিগেশনে সিআইডি’ শিরোনামে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।
মতবিনিময় সভায় সিআইডির বিভিন্ন শাখার ইউনিট প্রধানেরা শাখার কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তাঁরা ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা ও চ্যালেঞ্জগুলো উপস্থাপন করেন।
আইজিপি অত্যন্ত ধৈর্যের সঙ্গে সবার বক্তব্য শোনেন এবং তাৎক্ষণিক সমস্যার সমাধান দেন।
তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে সিআইডি সরকারের বিভিন্ন ইউনিটসহ সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।’
সিআইডিতে সাইবার মনিটরিং সেল, মানব পাচার মনিটরিং সেল, প্রসিকিউশন সেলসহ নতুন নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করায় তিনি সিআইডি প্রধানের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
গ্রুপভিত্তিক তদন্ত কার্যক্রম, কেইস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এবং ফরোয়ার্ড ডায়েরি মেইনটেইন করার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স, ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম প্রতিরোধ, মানব পাচার প্রতিরোধ, সাইবার ক্রাইম দমন ও ক্রিমিনাল ইন্টেলিজেন্স সংগ্রহে সিআইডিকে আরও গতিশীল ভূমিকা পালন করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন তিনি।
সিআইডি প্রধান তাঁর বক্তব্যে অপরাধ দমনে চলমান কার্যক্রমের ওপর আলোকপাত করেন। তিনি সিআইডির আধুনিকায়নে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন এবং আইজিপির সহযোগিতা কামনা করেন।
তিনি দক্ষতা উন্নয়নে দেশ-বিদেশে সাইবার ও ফরেনসিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও গবেষণা কার্যক্রমের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন এসবির প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)। এ ছাড়া ডিআইজি (অর্গানাইজড ক্রাইম) কুসুম দেওয়ান, ডিআইজি (এইচআরএম) মো. মাইনুল হাসান পিপিএমসহ সিআইডির অন্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
