হারানোর মোবাইল ফোনটি প্রকৃত মালিকের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ছবি : চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি

পুলিশ সুপারের কার্যালয় অবস্থিত চুয়াডাঙ্গার সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল উদ্বোধনের পর থেকেই একের পর এক সাফল্য ও উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল, বিকাশ প্রতারণা, মোবাইল উদ্ধার, অনলাইন প্রতারণাসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতারণার শিকার ও ভুক্তভোগীদের বিভিন্ন ধরনের আইনি পরামর্শ ও সেবাদান করছে।

এরই ধারাবাহিকতায় ২ জানুয়ারি চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থানাধীন দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে মাহফুজুর রহমান পুলিশ সুপার মো. জাহিদুল ইসলামকে জানান, গত বছরের ৭ নভেম্বর দর্শনা থেকে চুয়াডাঙ্গা আসার সময় তাঁর স্যামস্যাং এ১২ মোবাইল ফোনটি হারিয়ে যায়। এ সংক্রান্তে দর্শনা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

পুলিশ সুপার তাৎক্ষণিকভাবে চুয়াডাঙ্গার সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. মনিরুল ইসলাম মৃধাকে হারানো মোবাইল ফোনটি উদ্ধারের নির্দেশ দেন।

পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) কনক কুমার দাসের নির্দেশনায় তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল মোবাইল ফোনটি উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যায়। অবশেষে হারানো মোবাইল ফোনটি ঢাকার যাত্রাবাড়ীর দনিয়া গোয়ালবাড়ী মোড় থেকে উদ্ধার করা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) কনক কুমার দাস আজ বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অবস্থিত সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের অফিসকক্ষে আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে হারানো মোবাইল ফোনটি প্রকৃত মালিকের হাতে তুলে দেন।

এ সময় ফোনের মালিক হারানো মোবাইল ফোনটি হাতে পেয়ে আনন্দে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, ‘মোবাইল ফোনটি হারিয়ে এক প্রকার আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম। আমার শখের মোবাইল ফোনটি পুলিশ সুপার মহোদয়ের আন্তরিকতায় এত দ্রুত ফিরে পাব ভাবতে পারিনি।’ তিনি পুলিশ সুপার ও চুয়াডাঙ্গার সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশনে কর্মরত সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।