জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন করছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

ঈদের ছুটিতে ফাঁকা রাজধানীতে চুরি, ছিনতাই প্রতিরোধে ডিএমপির ৫০০ টিম কাজ করবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।

রোববার (১ মে) সকালে জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।

তিনি বলেন, প্রতিটি থানা থেকে ১০টি করে মোবাইল টিম বের হবে। এভাবে ৫০টি থানায় ৫০০টি টিম থাকবে। মহানগর এলাকায় রাতে আড়াই হাজার অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘অপরাধীদের চলাচলে যাতে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়, সে জন্য আমাদের চেকপোস্ট থাকবে। ঢাকা শহরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে, কন্ট্রোল রুম থেকে সেগুলো মনিটর করা হবে। গত এক মাসে পাঁচ শতাধিক তালিকাভুক্ত চোর, ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমরা নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সাধারণত যে বিষয়গুলো বলে থাকি, সেগুলো যদি মানুষ মেনে চলে, তাহলে তাঁর জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা অনেকটাই নিশ্চিত হয়। যে যেখানেই যান, আপনার মূল্যবান সম্পদের হেফাজত নিজ থেকে করবেন।’

জাতীয় ঈদগাহে চার স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ঈদের জামাতে আগত মুসল্লিরা জায়নামাজ ও ছাতা সঙ্গে নিয়ে আসতে পারবেন। এর বাইরে কোনো কিছু সঙ্গে নিয়ে আসতে না করছি আমরা। এ ছাড়া প্রত্যেকের তল্লাশির মধ্য দিয়ে আর্চওয়ে গেট দিয়ে ঈদগাহে ঢুকতে হবে। কারও সঙ্গে ব্যাগ থাকলে তা-ও তল্লাশি করা হবে।

কমিশনার বলেন, এবারের ঈদে ঢাকায় ছোট-বড় ঈদগাহ এবং মসজিদ মিলে মোট ১ হাজার ৪৬৮টি স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সব কটিতেই নিরাপত্তা দেবে ডিএমপি। এ ছাড়া জাতীয় ঈদগাহে জামাতের আগে সুইপিং করবে বোমা ডিসপোজাল ইউনিট, চারপাশে থাকবে সিসিটিভি ক্যামেরা।