চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থানা-পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার প্রতারক চক্রের চার সদস্য। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থানা-পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের হোতাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার আসামিদের নাম মো. কবির হোসেন (৩২), মো. আরজেন আলী (৪৫), মশিউর রহমান ও শাহজাহান।

চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ জানায়, নাটোরের আসওয়াত এগ্রোর ব্যবস্থাপক মো. মোস্তাফিজুর রহমান ১৬ ফেব্রুয়ারি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থানার মৌ পোলট্রি ফার্ম নামের একটি মুরগি খামারের কাছ থেকে ৪ হাজার ৭০০টি মুরগির বাচ্চার চাহিদা পান। এরপর মুরগির খামারের মালিকের সঙ্গে মুঠোফোনে আসওয়াত অ্যাগ্রোর ১ লাখ ৭৮ হাজার টাকা মূল্য পরিশোধের মৌখিক চুক্তি হয়। পরে মৌ পোলট্রি ফার্মের পরিচয়ে একটি বিকাশ নম্বর থেকে মোস্তাফিজুর প্রতিষ্ঠানের বিকাশ নম্বরে ৮ হাজার টাকা পাঠিয়ে বাকি টাকা মুরগির বাচ্চা বুঝে পাওয়ার পর পরিশোধ করা হবে বলে জানানো হয়।

চুক্তি অনুযায়ী একটি পিকআপ ভ্যানে করে ৪ হাজার ৭০০টি মুরগির বাচ্চা মৌ পোলট্রি ফার্মের ঠিকানায় পাঠানো হয়। এরপর অজ্ঞাতনামা সেই ব্যবসায়ী টাকা পরিশোধে টালবাহানা শুরু করে। প্রথমে মোস্তাফিজুরকে আলমডাঙ্গা গরুর হাটে ডেকে নেন তিনি; পরে সন্ধ্যার দিকে আলমডাঙ্গা রেলস্টেশনে একটি খালের ধারে নিয়ে মোস্তাফিজুরকে ধাক্কা দিয়ে খালে ফেলে দৌড়ে পালান। পরে মোস্তাফিজুর আমলডাঙ্গা থানায় অভিযোগ করেন।

অভিযোগ পেয়ে থানা-পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ১৮ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে প্রথমে কবির ও আরজেনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঝিনাইদহ সদর থানার লক্ষ্মীকোল গ্রাম থেকে মশিউর এবং একই থানার হোলিধীন গ্রাম থেকে শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করা হয়। মশিউরের কাছ থেকে ৩ হাজার ১০০টি সোনালি মুরগির বাচ্চা এবং শাহজাহানের কাছ থেকে ৫০০টি সোনালি মুরগির বাচ্চা উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।