স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে জলবায়ু সম্মেলন শেষ হওয়ার নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও জলবায়ু পরিবর্তনের বিপজ্জনক প্রভাব এড়াতে দেশগুলোর মধ্যে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর আলোচনা, দর-কষাকষি এখনো চলছে।

জাতিসংঘের এই জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক বার্ষিক সম্মেলন শুক্রবার শেষ হওয়ার কথা ছিল; কিন্তু কোনো ঘোষণা বা চুক্তি চূড়ান্ত না হওয়ায় সম্মেলনের সময় এক দিন বাড়ানো হয়েছে।

শনিবার স্থানীয় সময় বিকেলে সম্মেলনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণে আনুষ্ঠানিক অধিবেশন বসছে বলে জানিয়েছেন সম্মেলনের সভাপতি অলোক শর্মা। খবর বিবিসির।

বর্তমানে দর-কষাকষিতে কয়লা ও অন্যান্য জীবাশ্ম জ্বালানিতে ভর্তুকি প্রসঙ্গ এবং দরিদ্র দেশগুলোকে কী পরিমাণ অর্থ দেওয়া হবে, তা-ই প্রাধান্য পাচ্ছে।
সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় ভয়াবহ ঝুঁকির মুখে পড়া ছোট দ্বীপরাষ্ট্রগুলোর দূতেরা শুক্রবার বলেছেন, তাঁদের ভূখণ্ড ধারণার চেয়েও দ্রুতগতিতে অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, বৈশ্বিক তাপমাত্রা প্রাক-শিল্পায়ন যুগের চেয়ে দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা গেলে জলবায়ু পরিবর্তনের বিপজ্জনক প্রভাব এড়ানো যাবে। প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে এ লক্ষ্য অর্জনে বেশির ভাগ দেশ প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল।

লক্ষ্য অর্জনে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের কার্বন নিঃসরণ ৪৫ শতাংশ কমানো, আর ২০৫০ সালের মধ্যে মোটামুটি শূন্যের কাছাকাছি নিয়ে আসা দরকার।

শুক্রবার কপ২৬ এ যে চুক্তির খসড়া প্রকাশিত হয়েছে, তাতে কয়লা ও অন্যান্য জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধে প্রতিশ্রুতির ব্যাপারে জোরালো বক্তব্য নেই বলে জানিয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যম।

পরিবেশকর্মীরাও চুক্তির এ খসড়ার তুমুল সমালোচনা করেছেন; তবে অনেকেই বলছেন, জাতিসংঘের এ ধরনের কোনো নথিতে কয়লার কথা এভাবে আগে কখনোই আসেনি, জলবায়ুবিষয়ক সম্মেলনে ‘এই অগ্রগতিও কম নয়’।

কপ২৬ এ এখন পর্যন্ত যত প্রতিশ্রুতি এসেছে, তাতে বৈশ্বিক তাপমাত্রা প্রাক-শিল্পায়ন যুগের চেয়ে ২ দশমিক ৪ ডিগ্রি বেশিতে পৌঁছানোর পথে রয়েছে, এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ক্লাইমেট অ্যাকশন ট্র্যাকার।