ন্যাশভিলের বিপক্ষে গোল করার পর মেসির উচ্ছ্বাস। ছবি: সংগৃহীত

মায়ামির শেষ ম্যাচে মেসি ছিলেন না। তাতে হারের মুখও দেখেছেন টাটা মার্টিনোর শিষ্যরা। আজ বৃহস্পতিবার মেসি মাঠে নেমেছেন। তবে খেলেননি পুরো ম্যাচ। ৫০ মিনিটের মাথায় উঠে গেলেন তিনি। তবে যেটুকু সময় মেসি মাঠে ছিলেন, ততটাই যেন যথেষ্ট ছিল মায়ামির জন্য।

ন্যাশভিলের বিপক্ষে কনকাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের দ্বিতীয় লেগে দলকে মেসি জেতালেন ৩-১ গোলে। দলের জয়ের পথে নিজে এক গোল করেছেন। লুইস সুয়ারেজকে দিয়ে করিয়েছেন অন্যটি। আরেক গোলের মালিক রবার্ট টেইলর।

শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ন্যাশভিলের মাঠ থেকে ২-২ গোলের ড্র নিয়ে ফিরেছিল লিওনেল মেসি-লুইস সুয়ারেজের ইন্টার মায়ামি। সে ম্যাচেও গোল পেয়েছিলেন মেসি ও সুয়ারেজ। তবে সেদিন তাঁদের ভুগতে হয়েছিল বেশ। কিন্তু ঘরের মাঠে আজ মেসির জাদুতে শুরুতেই দুমড়ে যায় ন্যাশভিল। সেখান থেকে আর ম্যাচে ফেরাই হয়নি তাদের। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৩ গোলে এগিয়ে থেকে কনকাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে মেসির দল।

ম্যাচের ৮ মিনিটে মায়ামির প্রথম গোলটি আসে সুয়ারেজের কাছ থেকে। ন্যাশভিলের ডিফেন্ডারদের বোকা বানিয়ে অনেকটা এগিয়ে যান সুয়ারেজ। আর সঙ্গে ছিল মেসির নিখুঁত থ্রু বল। গোলরক্ষকের দুই পায়ের মধ্য দিয়ে সুয়ারেজের শট চলে যায় জালে। এর আগে মেসি নিজে চেষ্টা করেছেন। ফ্রিকিকও পেয়েছেন। তবে মায়ামির গোলের খাতা খুলেছে সুয়ারেজের কল্যাণে।

মেসি গোল করেন ম্যাচের ২৩ মিনিটে। ডি–বক্সে দিয়েগো গোমেজের কাছ থেকে বল পেয়ে বাঁ পায়ের শটে গোল করেন মেসি। এ নিয়ে টানা ৪ ম্যাচে গোল পেলেন মেসি। মায়ামির হয়ে ৫ ম্যাচে মেসির গোল ৫টি, করিয়েছেন আরও ৪টি।

২-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ইন্টার মায়ামি। বিরতি থেকে ফেরার ৫ মিনিট পরই মেসিকে তুলে নেন মায়ামি কোচ মার্টিনো। মেসির বদলি হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন টেইলর। ৬৩ মিনিটে সুয়ারেজের মাপা ক্রসে দুর্দান্ত এক হেডে বল জালে জড়ান তিনিই। ন্যাশভিলের স্যাম সারিডজ গোল করে ব্যবধান কমান ম্যাচের ৯৩ মিনিটে।

শেষ ষোলোয় মনটেরি ও সিনসিনাটির মধ্যকার ম্যাচে যে দল জিতবে, তাদের বিপক্ষে শেষ আটে খেলবে মেসির মায়ামি। ম্যাচটি হবে আগামী ২ এপ্রিল। সূত্র: ঢাকা পোস্ট