রাফাহে একটি ভবনে ইসরায়েলি হামলার পর ধ্বংসস্তূপে তল্লাশি চালাচ্ছে শিশু ও বড়রা। ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের নির্বিচার বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৩ হাজার ছাড়িয়েছে। হামাস নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৬২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৯১ জন।

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবরের পর থেকে গাজায় চলমান ইসরায়েলি হামলায় এ নিয়ে প্রায় ৬ মাসে ৩৩ হাজার ৩৭ জনকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। আহত হয়েছে আরও ৭৫ হাজার ৬৬৮ জন। হতাহতদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।

নারী-শিশুসহ বেসামরিকদের হত্যা করেই ক্ষান্ত হচ্ছে না ইসরায়েল, হামলে পড়ছে যুদ্ধবিধ্বস্ত মানুষের জন্য সহায়তা হিসেবে আসা ত্রাণবহরের ওপরও। এক ত্রাণবহরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিজেদের সাত কর্মী নিহত হওয়ার পর নিরাপত্তা ইস্যুতে গাজায় কার্যক্রম স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে ত্রাণ সংস্থা ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন (ডব্লিউসিকে)।

স্থানীয় কর্মীদের সুরক্ষা বিবেচনায় মার্কিন ত্রাণ সংস্থা আনেরাও তাদের কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে। বিবিসি জানিয়েছে, এই দুই ত্রাণ সংস্থা মিলে গাজায় প্রতি সপ্তাহে ২০ লাখ খাবারের প্যাকেট সরবরাহ করত।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ত্রাণকর্মীদের সুরক্ষায় যথেষ্ট পদক্ষেপ না নেওয়ার অভিযোগ করেছেন। আর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক ফোনালাপে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। গাজার বিদ্যমান পরিস্থিতিকে অসহনীয় হিসেবে উল্লেখ করে ওই হত্যাকাণ্ডের পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত দাবি করেছেন তিনি। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, সামরিক বাহিনী কর্তৃক ত্রাণকর্মীদের হত্যা করা অগ্রহণযোগ্য। সূত্র : আজকের পত্রিকা।