২০০৮ সালের আগে বিভিন্ন ক্যাম্পাসে অস্ত্রের ঝনঝনানি ছিল, সেই পরিস্থিতি বর্তমান সরকার স্বাভাবিক করেছে বলে জানিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (১৬ জুলাই) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজের অধ্যক্ষ সম্মিলন ও বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি। খবর ইন্ডিপেনডেন্ট অনলাইনের।

এ সময় দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় আওয়ামী লীগের অবদান তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা শিক্ষাকে বিনিয়োগ হিসেবে দেখতেন। তিনি শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করেছেন। কিন্তু ৭৫-এর পর সে পরিস্থিতি বদলে যায়। ১৯৯৬ সালে আবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় নতুন শিক্ষা নীতি প্রণয়ন করলেও ২০০১-এ তা বাতিল করে দেয় বিএনপি-জামায়াত।

দেশের মানুষ শিক্ষিত হোক বিএনপি-জামায়াত চায়নি এমন মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষকে অন্ধকারে রাখা ও নিজেদের অর্থ সম্পদ বৃদ্ধি করাই ছিল তাদের লক্ষ্য। ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর আওয়ামী লীগ সরকার বহুমুখী, যুগোপযোগী ও বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করে। ২০০৮ সালের আগ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে অস্ত্রের ঝনঝনানি ও বোমাবাজি ছিল। বর্তমানে সেই পরিস্থিতি নেই। আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে।

দেশে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই প্রিপ্রাইমারি স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এ পথেও বাধা এসেছে বারবার। ২০১৪ সালে বিএনপি জামায়তা মানুষ পুড়িয়ে মারার পাশাপাশি সারাদেশের ৫০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও পুড়িয়ে ফেলে। এরপরও থেমে থাকা হয়নি।

নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী আওয়ামী লীগ দেশকে বদলে দিতে পেরেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, প্রতি বছর বাজেটে শিক্ষায় বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। নতুন নতুন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী দেশকে বদলে দিতে পেরেছে আওয়ামী লীগ। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় একটি বড় পরিবার। সেখানেও সেশন জট দূর করতে সরকার সক্ষম হয়েছে।

করোনা ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক মন্দা মোকাবিলায় উৎপাদন বাড়ানো ও বিদ্যুৎ জ্বালানিসহ সবক্ষেত্রে সাশ্রয় করার তাগিদ দেন শেখ হাসিনা।

গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই উন্নয়ন হচ্ছে, স্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে, বলেন প্রধানমন্ত্রী।