পুলিশের হেফাজতে গ্রেপ্তার ১৫ ডাকাত।

ঢাকার কেরাণীগঞ্জে আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের ১৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে দক্ষিন কেরাণীগঞ্জ থানাপুলিশ।

আজ রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বিষয়টিকে নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান।

পুলিশ সুপার বলেন, গত ১১ সেপ্টেম্বর রাত ১টায় অটোরিকশাচালক সুন্দর আলী আব্দুল্লাপুর স্ট্যান্ড থেকে তার পরিচিত যাত্রী হাফেজ মো. নুরুল ইসলামকে নিয়ে চরগুলগুলিয়া যাওয়ার পথে বাহাদুর ভিটার সামনে পৌঁছালে দেখেন যে রাস্তার উপর গাছ কেটে বেরিকেড তৈরি করা হয়েছে। এরপর একদল ডাকাত সুন্দর আলী ও নুরুল ইসলামের গলায় রামদা ও ছেনদা ধরে তাদের দড়ি দিয়ে বেঁধে রাস্তার ওপর ফেলে এলোপাতারি মারধর শুরু করে এবং সুন্দর আলীর সাথে থাকা নগদ টাকা, একটি স্যামস্যাং মোবাইল ফোন ও হাফেজ নুরুল ইসলামের কাছে থাকা নগদ ২৫ হাজার টাকা এবং একটি মোবাইল ফোন নিয়ে নেয়। এরপর তাদেরকে হাত, পা, মুখ বাধা অবস্থায় চকের মধ্যে ফেলে রেখে অটোরিকশাটি নিয়ে চলে যায়।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তারা বাধনমুক্ত হন। হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে এ ঘটনায় দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় ডাকাতির মামলা দায়ের করেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, কেরাণীগঞ্জ সার্কেলের নেতৃত্বে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার একটি চৌকস তদন্তদল ঘটনাস্থলের বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা এবং প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের মাধ্যমে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত সংঘবদ্ধ ডাকাতদলকে কেরাণীগঞ্জ মডেল থানাধীন আটিবাজার, জিনজিরা এবং মোহাম্মদপুর, হাজারীবাগ, কামরাঙ্গীরচর, লালবাগসহ ডিএমপির বিভিন্ন এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের ১৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তাররা হলেন, মো. স্বপন হাওলাদার, মো. মাসুদ হাওলাদার,মো. রাকিব ওরফে রকিব সরদার, মো. রিপন মৃধা, মো. আকাশ, মো. রুবেল সরদার, রাজন মিয়া, মো. ফারুক খান, হেলাল বেপারী,মো. রেজাউল, মো. রনি কাজী, টিপু হাওলাদার, মো. সোহেল, মো. মামুন সিকদার, মো. রাজিব হোসেন।