আগামী বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজক দেশ কাতার। ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব ফুটবলের এই আসর। এ উপলক্ষে দেশটিতে তিন হাজার দাঙ্গা পুলিশ পাঠানোর পরিকল্পনা করছে তুরস্ক। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহর বরাত দিয়ে যুগান্তরের খবরে এ কথা জানানো হয়েছে। খবরে বলা হয়, তুর্কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেইমান সোইলু গতকাল বৃহস্পতিবার এ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সোইলু বলেন, উপসাগরীয় দেশ কাতারে ২০২২ বিশ্বকাপ উপলক্ষে তুরস্কের দাঙ্গা পুলিশ ইউনিটের তিন হাজার সদস্যকে পাঠানো হবে। এ সংখ্যা আরও বাড়ানো হতে পারে।

এরদোয়ানের কাতার সফরের দুদিন পর আঙ্কারায় তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রেসিডেন্টের কাতার সফরের সময় বিশ্বকাপের নিরাপত্তাসংক্রান্ত একটি নতুন চুক্তি সই হয়।

সোইলু বলেন, তুরস্ক একটি গুরুতর দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছে এবং ২০১৭ সাল থেকেই তারা কাতারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করছে। প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের পরামর্শে এ আলোচনা চলছিল।

‘ইউরোপের বহু দেশ কাতারে নিরাপত্তাসংক্রান্ত সেবা দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছিল। কিন্তু কাতার এ কাজের জন্য আমাদের বেছে নিয়েছে। এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ’, যোগ করেন তুর্কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

সোইলু বলেন, তিন হাজারের বেশি দাঙ্গা পুলিশের সদস্য পাঠানোর সক্ষমতা তুরস্কের রয়েছে। এ বিষয়ে আলোচনা চলছে। তুরস্ক ইতিমধ্যে কাতারের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এ ছাড়া তুরস্কে ও কাতারে দোহার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে তুরস্কের নিরাপত্তা বাহিনীর একজন সমন্বয়ক এবং ৪০ জনের বেশি নিরাপত্তা উপদেষ্টা থাকবেন। তুরস্ক নিরাপত্তার জন্য কিছু প্রশিক্ষিত কুকুরও পাঠাবে। আমরা আশা করছি দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করতে পারব। এটি খুবই আনন্দের খবর যে, এত বড় একটি প্রতিযোগিতার নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের দেওয়া হয়েছে।’

২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের পর্দা উন্মোচিত হবে ২১ নভেম্বর কাতারের রাজধানী দোহা সিটির আল বাইত স্টেডিয়ামে। স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় প্রথম ম্যাচ শুরু হবে।

৩২ দলের এই বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট শেষ হবে মাত্র ২৮ দিনেই। অর্থাৎ ফাইনাল ম্যাচটি হবে একই বছরের ১৮ ডিসেম্বর লুসাইল স্টেডিয়ামে।