আলোচনা অনুষ্ঠানে আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ, বিপিএম (বার)। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

পুলিশ সদস্যরা এ দেশের জনগণের মাঝ থেকে উঠে এসেছে উল্লেখ করে ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ, বিপিএম (বার) বলেছেন, কমিউনিটির সঙ্গে থেকে কমিউনিটির জন্য কাজ করছেন তাঁরা।

পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে ‘সংকটে, সেবায়, মানবিকতায় পুলিশ’ শীর্ষক এক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থাপক ফারজানা রূপা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মূল্যায়ন ও আগামী দিনের বার্তা জানতে চান আইজিপির কাছে। জবাবে আইজিপি বলেন, ‘শুরুতে দেশবাসীকে পুলিশ সপ্তাহ-২০২২-এর অনেক অনেক অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা। বাংলাদেশ পুলিশ এ দেশের জনগণের জন্য কাজ করে। এর সদস্যরা এ দেশের জনগণের মাঝ থেকে উঠে এসেছে; এ দেশের সাধারণ মানুষের সন্তান এরা। তারা কমিউনিটির ভেতর থেকে এসেছে; কমিউনিটির জন্য কাজ করে এবং কমিউনিটির সঙ্গে থেকেই কাজ করে।’

পুলিশের ঐতিহাসিক ভূমিকা নিয়ে আইজিপি বলেন, ‘বিগত ৫০ বছরে যদি আমরা পরিক্রমায় পিছনে ফিরে তাকাই, তাহলে দেখব যে, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণের মধ্য দিয়েই মূলত বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সৃষ্টি। মূলত ২৫ মার্চের কালরাতের আগেই বাঙালি পুলিশ বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়ে যায়। যদিও অ্যাটাকটা হয়েছিল ২৫ মার্চ রাতে, কিন্তু তার আগেই কিন্তু মার্চের শুরুতেই দেখবেন যে, সারা বাংলাদেশে বিভিন্ন মহকুমা এবং জেলা সদরে পুলিশ বাহিনী তাদের অস্ত্রের ভান্ডার খুলে দিয়েছে ফর দ্য ফ্রিডম ফাইটার্স। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন মহকুমা, শহরে, থানা পর্যায়ে, জেলা পর্যায়ে তারা তখনকার সময়ের মুক্তিকামী যুবক-যুবতীদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে পুলিশ লাইনে।’

মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের অবদান নিয়ে বাহিনীর প্রধান বলেন, ‘একটা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগেই পুলিশ বাহিনী কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষ যারা, তাদের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে তারা দায়িত্ব পালন করেছে, কর্তব্যকাজ করেছে এবং একাত্তরের ২৫ মার্চ কালরাতে তারা সরাসরি হানাদার বাহিনীর টার্গেটে পরিণত হয়। অত্যাধুনিক অস্ত্রের মোকাবিলা করেছে তারা সামান্য থ্রি নট থ্রি রাইফেল দিয়ে এবং আমি বলব বীরত্বের সঙ্গে শাহাদাত বরণ করেছে তারা শেষ পর্যন্ত থেকে তারা চেষ্টা করেছে।’