বাংলাদেশ পুলিশের ফর্মড ইউনিটের (রোটেশন-১৫) কয়েকজন সদস্য। ছবি: পুলিশ নিউজ

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত বাংলাদেশ পুলিশের ফর্মড ইউনিট (রোটেশন-১৫) ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর রাজধানী কিনসাসার ইনকালে বাংলাদেশের ৫১তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেছে।

বাংলাদেশ পুলিশের ফর্মড ইউনিটের (রোটেশন-১৫) আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আগত অতিথিগণ। ছবি: পুলিশ নিউজ

২৫ মার্চ দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে মোমবাতি জ্বালিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয় এবং তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়।

২৬ মার্চ সকালে শহীদদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

এ সময় বাংলাদেশ পুলিশের ফর্মড ইউনিটের (রোটেশন-১৫) কমান্ডার নাজমুন নাহারসহ অন্য কর্মকর্তারা এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।

এ ছাড়া শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মসজিদে বিশেষ দোয়া এবং মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।

শহীদদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। ছবি: পুলিশ নিউজ

স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে সন্ধ্যায় একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের মধ্যে ছিলেন কঙ্গোতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত চিফ অব ডেভেলপমেন্ট মুনাসকো ইউলিয়া, সেক্টর প্রধান আফোডোর আবলাভি কোউ ডোজে, মিসরীর ফর্মড পুলিশ কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার আলাদিন মোহাম্মদসহ বিভিন্ন দেশের অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ পুলিশের ফর্মড ইউনিটের (রোটেশন-১৫) কর্মকর্তা ও সদস্যগণ।

মোমবাতি জ্বালিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। ছবি: পুলিশ নিউজ

স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ পুলিশের ফর্মড ইউনিটের (রোটেশন-১৫) কমান্ডার নাজমুন নাহার মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে হানাদার পাকিস্তানের হাত থেকে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। যুদ্ধে নিহত ৩০ লাখ শহীদ এবং ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে এই স্বাধীনতা পৃথিবীর ইতিহাসে এক দৃষ্টান্ত।