কক্সবাজারের উখিয়ায় মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের সমন্বয়, ব্যবস্থাপনা ও আইনশৃঙ্খলা-সম্পর্কিত নির্বাহী কমিটির ৩০তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

২৩ আগস্ট বেলা ১টা ১০ মিনিটে ইরানি পাহাড় পুলিশ ক্যাম্পের আওতাধীন রোহিঙ্গা ক্যাম্প ১৭-এ অবস্থিত রোহিঙ্গা কো-অর্ডিনেশন অফিসে আইনশৃঙ্খলা নিরাপত্তাবিষয়ক সমন্বয় সভা শুরু হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার (চট্টগ্রাম) তোফায়েল ইসলাম, চট্রগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি নুরে আলম মিনা (বিপিএম, পিপিএম), জেলা প্রশাসক মামুনুর রশিদ, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান, এসএম ফজলুর রহমান (এফডিএমএন), অতিরিক্ত ডিআইজি, ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক মো. ইকবাল (অতিরিক্ত ডিআইজি), ৮ এপিবিএনের অধিনায়ক আমির জাফর (অতিরিক্ত ডিআইজি), ১৬ এপিবিএনের অধিনায়ক হাসান বারী নুর (অতিরিক্ত ডিআইজি), এনএসআই অতিরিক্ত পরিচালক এম এস কে শাহিন, বিজিবি সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আজিজুর রউফ (রামু সেক্টর), মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (ডিএনসি) জাফরুল্লাহ কাজল, চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রধান মজিবুর রহমান পাটওয়ারী, র‌্যাব-১৫-এর প্রতিনিধি হাফিজুর রহমান (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) ডিজিএফআই কর্নেল মোর্শেদ আলম চৌধুরী, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহীন ইমরান, নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহাবুব রহমান, কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম, (পিপিএম), ইসলামিক ফাউন্ডেশন কক্সবাজার ফাহমিদা বেগম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উখিয়া কক্সবাজার ইমরান হোসেন সজিব ও বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সাম্প্রতিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড, তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানোর পর আদালতে জামিনে মুক্তি পাওয়া, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধির সমন্বয় করা, নিয়মিত পুলিশ টহল ও বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা, মাঝিদের কার্যক্রম বৃদ্ধি ও তাদের অপরাধ কর্মকাণ্ড নজরদারি রাখা, সাধারণ রোহিঙ্গারা যাতে ক্যাম্পের বাইরে যেতে না পারে, এ জন্য চেকপোস্টের সংখ্যা বাড়ানো ও প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা, সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকানোসহ গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা, স্থানীয় দুষ্কৃতকারীদের সাথে আরসা সন্ত্রাসীদের যোগাযোগ ,জিরো পয়েন্টে আরসা সন্ত্রাসীদের অবস্থানসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়।