আরএমপির সদর দপ্তরে আলোচিত সেই শরবত বিক্রেতা মো. সাদেকুল ইসলামকে আর্থিক সহায়তা দেন আরএমপির পুলিশ কমিশনার মো. আবু কালাম সিদ্দিক। ছবি: রাজশাহী মহানগর পুলিশ

রাজশাহীর শরবত বিক্রেতা অদম্য, পরিশ্রমী ও মেধাবী শিক্ষার্থী সাদেকুলকে পুনাক সভানেত্রী জীশান মীর্জার সহায়তার পর তাঁর শিক্ষা কার্যক্রম নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাওয়ার জন্য এবার এগিয়ে এসেছেন রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) পুলিশ কমিশনার মো. আবু কালাম সিদ্দিক।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় আরএমপির সদর দপ্তরে আলোচিত সেই শরবত বিক্রেতা মো. সাদেকুল ইসলাম পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। পুলিশ কমিশনার সাদেকুলের লেখাপড়াসহ সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর নেন। এ সময় পুলিশ কমিশনার সাদেকুলের শিক্ষাজীবন নির্বিঘ্ন করতে তাঁর স্নাতক ১ম বর্ষের বইসহ শিক্ষা উপকরণ কেনার জন্য আর্থিক সহায়তা দেন।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর ‘শরবত বিক্রির ফাঁকে চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি’ শিরোনামে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলে বিষয়টি বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সভানেত্রী জীশান মীর্জার নজরে আসে। তাঁর আন্তরিক উদ্যোগে রাজশাহী মহানগর পুলিশের পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে আরএমপি ডিবির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ দৈনিক প্রথম আলোর রাজশাহীর নিজস্ব প্রতিবেদক আবুল কালাম মুহম্মদ আজাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সাদেকুল ইসলামকে খুঁজে বের করেন। পরে গত ১০ অক্টোবর আরএমপির সদর দপ্তরে পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি, আরএমপি কর্তৃক আয়োজিত সামাজিক কল্যাণমূলক কার্যক্রম অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) সভানেত্রী ও ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার)-এর সহধর্মিণী জীশান মীর্জার পাঠানো উপহার ফুডপান্ডার খাবার সরবরাহের জন্য সাইকেল, হেলমেট ও মোবাইল ফোন সাদেকুলের হাতে তুলে দেন আরএমপির সম্মানিত পুলিশ কমিশনার মো. আবু কালাম সিদ্দিক।
এবার সাদেকুলের উচ্চশিক্ষার স্বপ্নপূরণে আর্থিক সহায়তা দিলেন আরএমপির পুলিশ কমিশনার। নির্বিঘ্নে পড়ালেখা করতে আর্থিক সহায়তা পেয়ে সাদেকুল আরএমপির পুলিশ কমিশনার মো. আবু কালাম সিদ্দিককে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান।