পুলিশি হেফাজতে আসামি মো. নুরুল ইসলাম। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের (এটিইউ) পৃথক অভিযানে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) পরোয়ানাভুক্ত দুই সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গত মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এবং বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ভোরে চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানা এলাকা এবং গাজীপুর নগরীর টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আসামিরা হলেন জেএমবির আমির সালাউদ্দিন সালেহীনের একান্ত সহযোগী মো. নুরুল ইসলাম (৪০) এবং সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. রাসেল (৩৭)। তাঁদের মধ্যে নুরুলের বাড়ি ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থানা এলাকায় এবং রাসেলের বাড়ি লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থানা এলাকায়। তাঁদের দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল।

এটিইউ জানায়, বুধবার ভোরে গাজীপুর নগরীর টঙ্গী পূর্ব থানাধীন দারুল আকরাম একাডেমির পাশ থেকে জেএমবির সক্রিয় সদস্য মো. নুরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুই যুগের বেশি সময় ধরে তিনি জেএমবির কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত। ২০০৩ সালে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থানাধীন চেচুয়া কুড়িপাড়া এলাকায় ব্র্যাক (আরডিপি) অফিসে ডাকাতির ঘটনায় নেতৃত্ব দেন জেএমবির শুরা সদস্য সালাউদ্দিন সালেহীন। এতে নুরুলের সম্পৃক্ততা ছিল। এ ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। ২০০৭ সালে আসামি নুরুলসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। প্রায় ২০ বছর দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে ছিলেন নুরুল। অবশেষে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হলো।

পুলিশি হেফাজতে আসামি মো. রাসেল। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

অপর অভিযানে চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন নাসিরাবাদ স্টিল মিল এলাকা থেকে জেএমবির সক্রিয় সদস্য রাসেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০০০ সাল থেকে জেএমবির কার্যক্রমের সঙ্গে তিনি যুক্ত। ২০০৮ সালে নীলফামারীর ডিমলা থানায় করা অস্ত্র ও বিস্ফোরকের মামলায় আসামি রাসেলসহ চারজনের সাতজনের কারাদণ্ড হয়। প্রায় ১৫ বছর পলাতক ছিলেন তিনি।

গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছে এটিইউ।