নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থেকে গ্রেপ্তার করা আদম পাচারকারী চক্রের দুই সদস্য। ছবি: এপিবিএন

নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানাধীন মদনপুর ইউনিয়নের কাইনালি ভিটা গ্রামের মৃত ওয়ারিশ মিয়ার ছেলে মো. আহসান উল্লাহ গতকাল মঙ্গলবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থানায় হাজির হয়ে সোনারগাঁ থানাধীন সাদিপুর ইউনিয়নের কাজরদী গ্রামের সাইফুল ইসলাম (৩৮) নামের এক ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন।

অভিযোগে বলা হয়, সাইফুল ইসলাম আদম ব্যবসায়ী চক্রের সদস্য। তারা প্রতিমাসে ৬০ হাজার টাকা বেতন ও ভালো কাজের সুযোগ দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে আহসান উল্লাহর ছেলে সাকিবকে (২৭) মিথ্যা প্রলোভন দেখায় এবং লিবিয়া পাঠানোর জন্য ৪ লাখ টাকা দাবি করে। আহসান উল্লাহ তাদের ৪ লাখ টাকা দেন। এরপর তারা সাকিবকে লিবিয়া পাঠায়। লিবিয়ায় পৌঁছানোর পর সাকিবকে কাজ না দিয়ে আসামি সাইফুলসহ অজ্ঞাতনামা চার-পাঁচজন জন মিলে শারীরিক নির্যাতন করে, লিবিয়ায় তাদের হেফাজতে আটকে রেখে আরও টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করে এবং তার পাসপোর্ট ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।

পরে সাকিব কৌশলে তাদের হেফাজত হতে পালিয়ে গিয়ে লিবিয়ার পুলিশের শরণাপন্ন হয় এবং গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরতে সক্ষম হন। বিমানবন্দর থানায় দায়ের করা মামলার এ পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার রাত আনুমানিক সাড়ে নয়টার দিকে ১১ এপিবিএন উত্তরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মামলার আসামি সাইফুল ইসলাম ও সেলিনাকে (৫৭) সোনারগাঁ থেকে থেকে গ্রেপ্তার করে।

১১ এপিবিএনের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি শাহীনা আমীন, পিপিএম মহোদয়ের নির্দেশনায় এবং সহ-অধিনায়ক (অপারেশন কমান্ডার) রহিমা আক্তার লাকী পিএসসির তত্ত্বাবধানে এপিবিএন হেডকোয়ার্টার্সের এলআইসি শাখা ও ১১ এপিবিএনের সাইবার টিমের সহযোগিতায় পুলিশ পরিদর্শক মোসা. বিলকিস আরা এবং সঙ্গীয় ফোর্সের সহযোগিতায় অভিযানটি পরিচালনা করা হয়।