প্রতীকী ছবি

শেরপুরের ঝিনাইগাতী থানার চাঞ্চল্যকর কিশোর প্রতিবন্ধী রুবেল মিয়া (১৭) হত্যার মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) জামালপুর। হত্যা মামলা তদন্তভার পাওয়ার এক দিনের মধ্যে আসামি সোহেলকে (১৯) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

জামালপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পক্ষ থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বুধবার দিনগত রাত (৯ সেপ্টেম্বর) সাড়ে ১২টার দিকে ঝিনাইগাতী থানা এলাকার পাইকুড়া নয়াপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানায়, গত ১৯ আগস্ট বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি রুবেল। পরের কয়েক দিন তাঁর ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে নম্বরটি বন্ধ পান পরিবারের সদস্যরা। এরপর ২৫ আগস্ট সংশ্লিষ্ট থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। গত ৬ সেপ্টেম্বর পাইকুড়া এলাকার কানি বিলে একটি মাথাবিহীন মরদেহ পাওয়া যায়। পরনের কাপড় দেখে রুবেলের মরদেহ শনাক্ত করেন পরিবারের সদস্যরা।

একপর্যায়ে রুবেলের বাবা জানতে পারেন, রুবেল আইপিএল জুয়া খেলতেন। জুয়া খেলতে স্বর্ণকার লিটন ও হারাধনের কাছে টাকা জমা রাখতেন রুবেল এবং হেরে গেলে ফরিদের কাছ থেকে ধার নিতেন।

পরে রুবেলের বাবা অজ্ঞাতদের আসামি করে ঝিনাইগাতী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ৮ সেপ্টেম্বর মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) জামালপুর।

তদন্তের একপর্যায়ে পাইকুড়া নয়াপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে আসামি সোহেলকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি ভুক্তভোগীর মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে আসামি জানায়, খালাতো ভাই সোহরাবকে (২০) সঙ্গে নিয়ে রুবেলকে হত্যা করেন আসামি সোহেল। ঘটনার দুই দিন আগে আইপিএলের জুয়ার টাকা নিয়ে আসামির সঙ্গে ভুক্তভোগীর বাগবিতণ্ডা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রুবেলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন আসামিরা। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ঘটনার দিন রুবেলকে পাইকুড়া বাজারে আসতে বলেন। সেখান থেকে মাছ ধরার কথা বলে রুবেলকে কানি বিলে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছার পর কাদা পানিতে শ্বাসরোধ করে রুবেলকে হত্যা করেন দুই আসামি। এরপর রুবেলের মরদেহ কচুরিপানা দিয়ে ঢেকে রাখেন। পরে রুবেলের পকেট থেকে স্মার্টফোন ও ৫ হাজার টাকা নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান আসামিরা।

পিবিআই জামালপুর জেলার পুলিশ সুপার এম.এম. সালাহ উদ্দীন বলেন, রুবেল হত্যা মামলায় এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পলাতক আরেক আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।