ইংলিশ চ্যানেলের ফ্রান্স উপকূলে গতকাল বুধবার যাত্রীবাহী নৌকা ডুবে নারী, শিশুসহ অন্তত ২৭ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির বরাত দিয়ে প্রথম আলোর খবরে এ কথা বলা হয়েছে।

ইংলিশ চ্যানেলে ২০১৪ সাল থেকে এটাই সর্বাধিক প্রাণহানির ঘটনা বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।
ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন জানান, বুধবার ইংলিশ চ্যানেলে নৌকাডুবিতে মারা যাওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে একটি মেয়েশিশু ও পাঁচ নারী রয়েছেন।

ইংলিশ চ্যানেলের দুর্ঘটনায় শঙ্কিত জানিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, মানব পাচারকারী চক্রকে থামাতে ‘কোনো চেষ্টা বাদ রাখবে না’যুক্তরাজ্য।

এএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ বলেছেন, ফ্রান্স ইংলিশ চ্যানেলকে সমাধিস্থল হতে দেবে না। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। ইংলিশ চ্যানেল দিয়ে মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের প্রতিহত করতে যৌথ প্রচেষ্টা জোরালো করার ব্যাপারে একমত হয়েছেন দুই দেশের প্রধান।
ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। একজন নিখোঁজ। এর আগে অবশ্য ৩১ জনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়।

বেলজিয়াম সীমান্ত থেকে চারজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়ে জেরাল্ড ডারমানিন বলেন, ‘তারা সরাসরি এই নির্দিষ্ট মানব পাচার কর্মকাণ্ডে জড়িত বলে আমরা সন্দেহ করছি।’

স্থানীয় সময় গতকাল ফ্রান্সের উপকূলে কিছু মানুষকে ভাসতে দেখার পর মাছ ধরার একটি নৌকা বিপৎসংকেত বাজালে নৌকাডুবির বিষয়টি জানা যায়।

নৌকাডুবির খবর পাওয়ার পর জীবিত ব্যক্তিদের উদ্ধারে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের কর্তৃপক্ষ সমুদ্র ও আকাশপথে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।