স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া বিদ্যুত আলী শেখ। ছবি: পাবনা জেলা পুলিশ

গত ২৫ সেপ্টেম্বর পাবনার আমিনপুর থানাধীন রুপপুর ইউনিয়নের কাঠালডাঙ্গী গ্রামের গৃহবধূ শিউলী খাতুনের (৩০) রক্তাক্ত দেহ তাঁর ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে মর্মে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক আমিনপুর থানার পুালিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং শিউলির গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার করে।

পরে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে, ওই দিন ভোর সাড়ে চারটার দিকে শিউলির মা ঘুম থেকে উঠে ঘরের বাইরে এসে দেখতে পান, শিউলির ঘরের দরজা খোলা। কোনো সাড়া না পেয়ে ঘরের মধ্য ঢুকে ঘরের মেঝেতে শিউলিকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দিলে অন্য ঘরে থাকা শিউলির বাবা বোনসহ আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে আসেন এবং শিউলিকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। শিউলির স্বামী তখন পলাতক ছিলেন।

পরে পাবনা জেলা পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুনসীর নির্দেশনা এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মো. মাসুদ আলমের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে আমিনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রওশন আলীর নেতৃত্বে একটি চৌকস দল উন্নত তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে সুজানগর থানাধীন হাটখলি এলাকা থেকে ওই গৃহবধূর স্বামী মো. বিদ্যুত আলী শেখকে গ্রেপ্তার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিদ্যুত আলী শেখ বলেন, বিয়ের পর থেকে তাঁদের মধ্যে সাংসারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রায় সময় ঝগড়া-বিবাদ লাগত। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি পরিকল্পনা করে তাঁর স্ত্রীকে হত্যা করে এ মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে চেয়েছিলেন। এই চিন্তাভাবনা থেকে আসামি ওই দিন রাত চারটার দিকে তাঁদের শয়নকক্ষে থাকা চাকু দিয়ে শিউলিকে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যান।

পরে আসামির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী স্থানীয় সাক্ষীদের সামনে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু জব্দ করা হয়। আসামি বিদ্যুত শেখ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

নিহত শিউলী খাতুন (৩০) আমিনপুর থানাধীন রূপপুর ইউনিয়নের কাঠালডাঙ্গী গ্রামের মো. তোফাজ্জল হোসেনের মেয়ে। আসামি বিদ্যুৎ আলী শেখ (৩৫) একই থানাধীন বাদাই গ্রামের মৃত মোকসেদ আলী শেখের ছেলে।