চিকিৎসাধীন হবিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেবের সঙ্গে কথা বলছেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি), বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

আইনশৃঙ্খলা রক্ষার সময় চোখে আঘাতপ্রাপ্ত হবিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেবকে দেখতে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে গিয়েছেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি), বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম।

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) সকালে হাসপাতালে গিয়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তার চিকিৎসার খোঁজ নেন এবং কর্তব্যরত চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন আইজিপি।

উল্লেখ্য, ১৯ আগস্ট স্বাভাবিক আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে গিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ছোড়া ঢিলের আঘাতে চোখে মারাত্মক আঘাত পান হবিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব। তাঁর অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক।

অজয় চন্দ্র দেবকে সান্ত্বনা দিয়ে আইজিপি বলেন, আপনার উন্নত চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশ পুলিশের সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

অতিরিক্ত আইজিপি আবু হাসান মুহাম্মদ তারিক, ডিআইজি (অপারেশনস) মো. আনোয়ার হোসেন, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের পরিচালক (ডিআইজি) শেখ মো. রেজাউল হায়দার, ডিআইজি এস এম মোস্তাক আহমেদ খান, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইজিপি বলেন, ‘আগামী দিনে আইনশৃঙ্খলার কারণে বাংলাদেশ পুলিশের কোনো সদস্য আক্রান্ত হলে, তাঁর সর্বোচ্চ চিকিৎসার জন্য আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করব।’

এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশপ্রধান বলেন, ‘আমরা আইন ও বিধির আলোকে দায়িত্ব পালন করে থাকি। আইন ও বিধির আলোকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য যে দায়িত্ব পালন করা দরকার, যে চ্যালেঞ্জ আমার সামনে আসবে, সেই চ্যালেঞ্জ আমাকে মোকাবেলা করতে হবে। এটা আমার আইনি দায়িত্ব। পেশাদারত্বের সঙ্গে সেই আইন প্রয়োগ করার দায়িত্ব আমার ওপর অর্পিত হয়েছে এবং এ আইনানুগ দায়িত্ব পালনে আমাদের সদস্যগণ কখনো কুণ্ঠাবোধ করেন না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আইনানুগ দায়িত্ব পালন করতে আমি বাধ্য। এই আইনানুগ দায়িত্ব পালনের জন্য আমাদের প্রশিক্ষণ রয়েছে, প্রয়োজনীয় লজিস্টিকস, ইকুইপমেন্ট ও সক্ষমতা রয়েছে।’

আইজিপি বলেন, ‘জনগণের জানমালের নিরাপত্তা প্রদানের জন্য যে দায়িত্ব পালন করা দরকার, সেই দায়িত্ব আইনানুগভাবে পেশাদারত্বের সঙ্গে আমরা সব সময় পালন করে আসছি।’