বগুড়ায় বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠান পুলিশ প্লাজা উদ্বোধন করছেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি), বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি), বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম বলেছেন, আইনশৃঙ্খলাজনিত যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পুলিশ সক্ষম।

শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বগুড়ায় বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠান ‘পুলিশ প্লাজা বগুড়া’ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

উত্তরবঙ্গের অত্যাধুনিক শপিং কমপ্লেক্সটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী।

বগুড়া-৫ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য মো. হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত আইজিপি আবু হাসান মুহাম্মদ তারিক, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি মো. আব্দুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরপিএমপি) কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, ডিআইজি (অর্থ) এস এম মোস্তাক আহমেদ খান, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনিসুর রহমান, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, অতিরিক্ত ডিআইজি ড. শোয়েব রিয়াজ আলম, বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে রাজশাহী রেঞ্জের সব জেলার পুলিশ সুপার, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা, স্থানীয় ব্যবসায়ী নেতা এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, কেউ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করলে, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্ন করলে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ দীর্ঘ দিন ধরে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করে আসছে। নির্বাচনকালে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে। বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশ পুলিশের লজিস্টিকস, ইকুইপমেন্টস বেড়েছে। ফলে পুলিশের সক্ষমতা বহুগুণ বেড়েছে। এখন কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে দ্রুততম সময়ে অপরাধের রহস্য উদঘাটিত হচ্ছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি), বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম-এর সঙ্গে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইজিপি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির আলোকে পুলিশ সফলভাবে জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণ করেছে। দেশে এখন স্থিতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ফলে দেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ রয়েছে। দেশ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে।

তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ৫ কোটি টাকার আর্থিক আনুকূল্যে ২০০০ সালে বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে। পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের অর্জিত অর্থ পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে গুরুতর আহতদের চিকিৎসা এবং নিহতদের পরিবারের সদস্যদের কল্যাণে ব্যয় করা হয়।

আইজিপি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠার পর এ পর্যন্ত ১২ হাজার পুলিশ সদস্যকে ৭১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে।

পুলিশপ্রধান বলেন, পুলিশ প্লাজা বগুড়া উত্তরাঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটাবে। এ মার্কেটের আয় পুলিশ সদস্যদের কল্যাণে ব্যয় করা হবে।

উল্লেখ্য, দশ তলাবিশিষ্ট পুলিশ প্লাজা বগুড়া শপিং কমপ্লেক্সে ২১৮টি দোকান রয়েছে।

এর আগে সকালে আইজিপি বগুড়া জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

পরে আইজিপি বগুড়া জেলা পুলিশ লাইনসে ড্রিল শেড, নারী ব্যারাক ও কম্পিউটার ল্যাব উদ্বোধন করেন। তিনি পুলিশ লাইনস চত্বরে একটি গাছের চারা রোপণ করেন।

সবশেষে রাজশাহী রেঞ্জ, রাজশাহী মেট্রোপলিটন ও বগুড়া জেলা পুলিশের আয়োজনে বগুড়া পুলিশ লাইনসের ড্রিল শেডে রাজশাহী বিভাগের সব পুলিশ ইউনিটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সদস্যগণের সঙ্গে বিশেষ কল্যাণ সভায় মতবিনিময় করেন।