অনলাইনে পণ্য বিক্রির নামে প্রতারণার অভিযোগে প্রতারক চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সিটি সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের সাইবার টেররিজম ইনভেস্টিগেশন টিম।

গত শুক্রবার (৫ মে) কুড়িগ্রামের রাজারহাট থেকে এক আসামিকে এবং সোমবার (৮ মে) রংপুরের কোতোয়ালি থানা এলাকা থেকে অপর তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি মোবাইল ফোন ও ১৭টি সিম কার্ড জব্দ করা হয়।

আসামিরা হলেন মো. রফিকুল ইসলাম বাপ্পি, নাজমুস সাকিব, রাশেদ মিয়া ওরফে রাকিব ও মো. আদিল হোসেন।

সাইবার টেররিজম ইনভেস্টিগেশনের টিম লিডার আরিফুল হোসেইন তুহিন জানান, বিক্রয়ডটকমে মোবাইল ফোন, বিদেশি পণ্য, পুরোনো গাড়িসহ বিভিন্ন সামগ্রীর ছবিসহ চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি। প্রতারণা করতে পুলিশের পরিচয় দিতেন আসামিরা। ডেলিভারি দেওয়ার কথা বলে নেওয়া হতো অগ্রিম টাকা। টাকা নেওয়ার পর তাঁদের আর খুঁজে পাওয়া যেত না।

তিনি আরও জানান, সম্প্রতি বিক্রয়ডটকমে একটি প্রাইভেট কার বিক্রির বিজ্ঞাপন দেখেন রাজধানীর রূপনগরের বাসিন্দা সাকিব মোল্লা। যোগাযোগ করলে বিক্রেতা তাঁকে জানান, গাড়িটি সুনামগঞ্জে আছে এবং বায়না হিসেবে ৪০ হাজার টাকা দিতে হবে। অগ্রিম টাকা দিয়ে সুনামগঞ্জে গিয়ে বিক্রেতাকে ফোন করে নম্বর বন্ধ পান সাকিব। খিলক্ষেতের বাসিন্দা সজীব মিয়াও একই চক্রের প্রতারণার ফাঁদে পড়েন। বিক্রয়ডটকমে মোবাইল ফোন কিনতে চাইলে অগ্রিম টাকা চান বিক্রেতা। টাকা দেওয়ার মাসখানেক পেরিয়ে গেলেও ফোনটি পাননি তিনি। এরপর বিক্রেতা নম্বর বন্ধ করে ফেলেন।

পুলিশ কর্মকর্তা আরিফুল হোসেইন তুহিন জানান, চক্রটি ভুয়া ফোন নম্বর, ই-মেইল এবং ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে ভুয়া আইডি খুলে প্রতারণা করত। সুন্দরবন কুরিয়ারের মতো প্রতিষ্ঠান থেকে টাকার বিনিময়ে খালি চালানপত্রের বই কিনে আনত। এসব ঘটনায় কুরিয়ার সার্ভিস ও ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর দায় রয়েছে। তাই ঝুঁকি এড়াতে পণ্য হাতে পাওয়ার আগে টাকা পরিশোধ না করার পরামর্শ দেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।