বন্যার্তদের উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয় সিলেট জেলা পুলিশ। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

সিলেটের বিভিন্ন উপজেলা এখন ভয়াবহ বন্যায় প্লাবিত। নারী-শিশুসহ লাখ লাখ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রসহ বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। অনেক মানুষ আটকা পড়েছে নিজের ঘরেই। পানিবন্দী হয়ে পড়ায় তারা নিরাপদ জায়গায় সরে যেতে পারছে না। এসব মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা। তাঁরা বন্যার্তদের খাদ্যসহ নানা ধরনের সহায়তা এবং উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

খাদ্যসহায়তা নিয়ে বন্যার্তদের পাশে পুলিশ। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

সিলেট মহানগর ও সিলেট জেলার বিভিন্ন থানার পুলিশ সদস্যরা জানিয়েছেন, ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার)-এর নির্দেশে বন্যার্ত মানুষের মুখে এক বেলা খাবার তুলে দিতে সিলেট জেলা পুলিশের একটি দল জেলা পুলিশ লাইনস থেকে রান্না করা হাজারখানেক খিচুড়ির প্যাকেট নিয়ে হাজির হন কোম্পানীগঞ্জ থানার ইছাকলস ইউনিয়নের শিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থাপিত অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে। শত প্রতিকূলতা ভেঙে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে প্রায় আড়াই ঘণ্টা সময় লাগে।

পরে ইছাকলস ইউনিয়ন পরিষদের দ্বিতীয় তলায় স্থাপতি অপর আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা মানুষের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়।

বন্যার্তদের জন্য খাদ্যসহায়তা নিয়ে হাজির পুলিশ সদস্যরা। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় কোম্পানীগঞ্জ থানা, গোয়াইনঘাট থানা ও বিশ্বনাথ থানার সঙ্গে মোবাইল নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন ছিল। থানা এলাকায় বিদ্যুৎ না থাকায় ১৭ জুন (শুক্রবার) জৈন্তাপুর ও কানাইঘাট এলাকায় পুলিশের উদ্ধারকারী দল অনেককে আশ্রয়কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়।
বন্যার্তদের উদ্ধারে পুলিশের তৎপরতা। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

১৮ জুন (শনিবার) সকাল থেকে সারা দিন গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ থানা এলাকায় বন্যার্ত অনেককে উদ্ধার করা হয়।

জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ১৭ ও ১৮ জুন কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুর থানা এলাকায় বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী ও খাবার বিতরণ করা হয়েছে।