পুলিশি হেফাজতে আসামিরা। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

যশোর জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অভিযানে আন্তজেলা ডাকাত দলের ৯ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে দুই ভরি স্বর্ণালংকার ও দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার এবং ডাকাতিতে ব্যবহৃত একটি আগ্নেয়াস্ত্র, তালা কাটার যন্ত্র ও বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।

বুধবার (৩০ নভেম্বর) যশোর ও খুলনার বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আসামিরা হলেন যশোরের ঝিকরগাছা থানা এলাকার নূর ইসলাম (৪৫), মাদারীপুরের কালকিনী থানা এলাকার মো. স্বপন সরদার (৫৫), মাদারীপুর সদর থানা এলাকার মো. লিটন শেখ (৪৯), মিন্টু ব্যাপারী (৫৫) ও হুমায়ূন কবীর (৫০), যশোরের কোতোয়ালি থানা এলাকার মো. জাকির (২৫) ও সুরুজ শেখ (৫১), রাজবাড়ী সদর থানা এলাকার আনোয়ার (৪১) এবং খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা থানা এলাকার অসীম চন্দ্র কর্মকার (৪৭)।

তাঁদের মধ্যে নূরের বিরুদ্ধে ৪টি ডাকাতি মামলা, স্বপনের বিরুদ্ধে ৮টি ডাকাতি ও একটি অস্ত্র মামলা, লিটনের বিরুদ্ধে ১০টি ডাকাতি ও ২টি অস্ত্র মামলা, মিন্টুর বিরুদ্ধে ৫টি ডাকাতি মামলা, হুমায়ূনের বিরুদ্ধে ৩টি ডাকাতি ও একটি অস্ত্র মামলা এবং জাকিরের বিরুদ্ধে ৫টি ডাকাতি মামলা রয়েছে।

উদ্ধার করা মালামাল ও ডাকাতিতে ব্যবহৃত সরঞ্জাম। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

যশোর ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুপন কুমার সরকার জানান, গত ২৬ নভেম্বর দিবাগত রাতে মনিরামপুর থানাধীন কোদলাপাড়া এলাকায় মশিউর রহমান নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে অজ্ঞাতপরিচয় ১০-১২ জন্য ব্যক্তি ডাকাতি করেন। এ ঘটনায় ২৭ নভেম্বর মামলা করেন ভুক্তভোগী। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় ডিবি। তদন্তের একপর্যায়ে যশোর ও খুলনার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাত দলের ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে খুলনার খালিশপুর বাজারের একটি দোকান থেকে লুণ্ঠিত স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া যশোরের মনিরামপুর থানাধীন জলকর রোহিতা গ্রাম থেকে দুটি মোবাইল ফোন এবং সদর থানাধীন পুলেরহাট তপসীডাঙ্গা এলাকার আসামি নূর ইসলামের বাড়ি থেকে ডাকাতিতে ব্যবহৃত একটি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আসামিরা সংঘবদ্ধ আন্তজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। যশোর ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি করেছেন তাঁরা।