পুলিশি হেফাজতে দুই আসামি। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

নোয়াখালী জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) তৎপরতায় আলোচিত ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটিত হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জেলা পুলিশ জানায়, ১০ টাকা ভাড়া নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ভুক্তভোগী বলরাম মজুমদারকে (১৫) হত্যা করে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যান আসামিরা।

গত বুধবার (১০ আগস্ট) সেনবাগ ও কোম্পানীগঞ্জ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ওই অটোরিকশার তিনটি চাকা উদ্ধার করা হয়।

আসামিরা হলেন সেনবাগ থানা এলাকার শ্যামল চন্দ্র দাস (৩২) এবং কোম্পানীগঞ্জ থানা এলাকার আবদুল খালেক ওরফে তোঁতা মিয়া (৫২)। অপর দুই আসামি এখনও পলাতক।

জেলা পুলিশ জানায়, গত ৩০ জানুয়ারি কোম্পানীগঞ্জ থানাধীন চরকাঁকড়া ইউনিয়নের মহিষের ডগি এলাকা থেকে ভুক্তভোগী বলরাম মজুমদারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা হয়। গত ১ মার্চ মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তদন্তের একপর্যায়ে আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। পরে তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে গত বুধবার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে প্রধান আসামি শ্যামল চন্দ্র দাস জানান, ভুক্তভোগী বলরামের সঙ্গে ঘটনার চার-পাঁচ দিন আগে অটোরিকশার ১০ টাকা ভাড়া নিয়ে দ্বন্দ্ব হয় দুই পলাতক আসামির। এর জেরে গত ৩০ জানুয়ারি বসুরহাট কলেজ রোড থেকে ভুক্তভোগীর অটোরিকশায় চড়েন আসামিরা। কোম্পানীগঞ্জ থানাধীন চরকাঁকড়া ইউনিয়নের মহিষের ডগি এলাকায় পৌঁছামাত্রই পাশের ধানক্ষেতে নিয়ে ভুক্তভোগীর হাত-পা বেঁধে ফেলেন আসামিরা। একপর্যায়ে মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে শ্বাসরোধে ভুক্তভোগীকে হত্যা করে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যান। পরে কোম্পানীগঞ্জ পৌরসভার করালিয়া এলাকার আব্দুল খালেক ওরফে তোঁতা মিয়ার কাছে ২৭ হাজার টাকায় অটোরিকশাটি বিক্রি করেন। এর মধ্যে ৫ হাজার টাকা ভাগে পান শ্যামল। বাকি ২২ হাজার টাকা পলাতক দুই আসামি ভাগ করে নেন।

জেলা পুলিশ আরও জানায়, প্রধান আসামি শ্যামল চন্দ্র দাস আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অপর আসামি আব্দুল খালেক ওরফে তোঁতা মিয়াকেও আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।