পুলিশি হেফাজতে দুই আসামি। ছবি : সংগৃহীত

টাকার বিনিময়ে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), জন্মনিবন্ধন সনদ ও কোভিড-১৯ টিকা কার্ডসহ বিভিন্ন ধরনের নকল সনদ সরবরাহের অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ডেটা এন্ট্রি অপারেটরসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান বিপিএম (বার) জানান, গত মঙ্গলবার (৭ মে) বাগেরহাট ও পাবনা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন নির্বাচন কমিশনের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর মো. জামাল উদ্দিন ও লিটন মোল্লা।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নজরদারি করতে গিয়ে এই চক্রের সন্ধান পায় সিটিটিসির ইন্টেলিজেন্স অ্যানালাইসিস বিভাগ। তদন্তের একপর্যায়ে তাঁদের শনাক্ত করা হয়। ইসির ডেটা এন্ট্রি অপারেটর জামালের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের সার্ভার থেকে তথ্য সংগ্রহ করতেন চক্রের অপর সদস্য লিটন।

আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, টাকার বিনিময়ে জাল এনআইডি, হারানো এনআইডির অনুলিপি তৈরি, এনআইডির তথ্য সংশোধন, জন্মনিবন্ধনের ডিজিটাল অনুলিপি ও নাম সংশোধন, করোনার টিকা কার্ড ও টিআইএন সার্টিফিকেটের ভুয়া অনুলিপি সরবরাহ করতেন আসামিরা।

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান বিপিএম (বার)। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, কাজের গুরুত্ব অনুযায়ী ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত নিত চক্রটি। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে গ্রাহক সংগ্রহ করত। গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী নিজের তৈরি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জাল সনদ বানিয়ে সরবরাহ করতেন লিটন, টাকা নিতেন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে। এভাবে প্রতারণা করে প্রায় কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে চক্রটি।

তিনি জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা করা হয়েছে। আদালতের আদেশে বর্তমানে আসামিরা পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।