ওয়াসা, ডিপিডিসি, মেট্রোরেলের প্রতিনিধি ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে সড়কসংশ্লিষ্ট উন্নয়ন সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

রাজধানীতে সড়ক সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগের কনফারেন্স রুমে মতিঝিল বিভাগের চলমান উন্নয়নকাজ-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ওয়াসা, ডিপিডিসি, মেট্রোরেলের প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ার্সসহ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। খবর ডিএমপি নিউজের।

ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মইনুল হাসানের (অতিরিক্ত ডিআইজি) সভাপতিত্বে সভায় অংশগ্রহণ করেন এমআরটি ৬ এর উপপ্রকল্প ব্যবস্থাপক মাহফুজুর রহমান, ডিপিডিসির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফয়েজ করিম, নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুল হাসান চৌধুরী, নির্বাহী প্রকৌশলী তরিকুল ইসলাম, অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পারভেজ রানা, ডিএসসিসি ও সংশ্লিষ্ট অন্য ইঞ্জিনিয়ার্স ও সংশ্লিষ্ট সহকারী পুলিশ কমিশনার, পুলিশ পরিদর্শকসহ (শহর ও যানবাহন) অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (ট্রফিক মতিঝিল) উপস্থিত ছিলেন।

সভায় প্রথমে যেসব স্থানে (মোট ১০ স্থান) উন্নয়নমূলক কাজ চলছে, সেগুলোর বর্তমান অবস্থান একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন প্রদর্শন করা হয়। ওই সড়কসমূহের বিদ্যমান অবস্থা, গতিপ্রকৃতি, ট্রাফিক বিঘ্নতা প্রভৃতি নিয়ে বিশ্লেষণ করা হয়। পরে নিম্নবর্ণিত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

১। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অতিদ্রুত চলমান কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
২। কাজ চলার সময় রোড সাইনস, মার্কিং দৃশ্যমান এবং বড় আকারে লিখে রাখতে হবে যাতে নগরবাসী এ ব্যাপারে সম্যক ধারণা পান।
৩। খননকাজের সংক্ষিপ্ত উদ্দেশ্য, জনগণের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখপ্রকাশ, মোট খননকাজের দৈর্ঘ্য, কাজ সমাপ্তির তারিখ উল্লেখসহ সাইনবোর্ড স্থাপন করতে হবে।
৪। খনন সাইটের চারদিকে নির্ধারিত ডিজাইন ফিতা দ্বারা বেষ্টুনী স্থাপন করতে হবে।
৫। রাত্রীকালীন খননের সময় পর্যাপ্ত বাতি এবং সিগন্যাল লাইটের ব্যবস্থা রাখতে হবে। রাতের বেলা লাল বাতি ও দিনের বেলা হলুদ বাতির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
৬। ধুলাবালি উড়ে যাতে জনসাধারণের চলাচলের অসুবিধা সৃষ্টি না করে, তজ্জন্য নিয়মিত ও প্রয়োজন মোতাবেক রাস্তায় পানি ছিটাতে হবে।
৭। খননকৃত মাটি, রাবিশ ইত্যাদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করতে হবে।
৮। প্রতিটি স্থানে পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করতে হবে। এসি (ট্রাফিক মতিঝিল) এটা সমন্বয় করবেন।
৯। চলমান কাজের ব্যারিকেড সুন্দরভাবে দিতে হবে, যাতে রাতের বেলায় রিফ্লেক্ট করে। অন্যথায় নানাবিধ দুর্ঘটনা ঘটার শঙ্কা থাকে।
১০। কাজ শেষে বালু পানি দিয়ে সুন্দরভাবে কমপ্যাকশনসহ সোলিং ও হেরিংবন্ডের কাজ অতিদ্রুত সম্পাদন করতে হবে। পরে সিটি করপোরেশন কার্পেটিং করবে।

সভায় সবাই সিদ্ধান্তসমূহের ব্যাপারে একমত পোষণ করেন এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণের সঙ্গে সমন্বয় সভা করার জন্য সকলে সাধুবাদ জানান। ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগ নগরবাসীকে স্বস্তিপ্রদানে বদ্ধপরিকর।