টাইব্রেকারে রিয়াল মাদ্রিদের জয় উদযাপন। ছবি: রয়টার্স

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে একের পর এক আক্রমণ ফিরিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের ইউক্রেনিয়ান গোলরক্ষক আন্দ্রে লুনিন। ১২০ মিনিট গোলবারে দাঁড়িয়ে দুর্দান্ত সব সেভ দিয়েছেন। টাইব্রেকারে দুই শট ফিরিয়ে দলকে ৪-৩ গোলে জিতিয়ে তুলে নিয়েছেন সেমিফাইনালে।

ঘরের মাঠে ম্যানসিটির বিপক্ষে প্রথম লেগে ৩-৩ গোলের সমতা করেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। দ্বিতীয় লেগ নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ১-১ গোলে শেষ হয়। দুই লেগ মিলিয়ে ব্যবধান দাঁড়ায় ৪-৪। ম্যানসিটি-রিয়াল ম্যাচ তাই অতিরিক্ত সময়ে গড়ায়। কিন্তু ঘরের মাঠে ১২০ মিনিটেও লস ব্লাঙ্কোসদের রক্ষণদুর্গ ভেঙে জিততে পারেনি সিটিজেনরা। বরং টাইব্রেকারে ভেঙেছে ম্যানসিটির দুর্গ।

দ্বিতীয় লেগে রিয়াল মাদ্রিদ বল দখলের লড়াইয়ে ব্যস্ত না হয়ে ধীরে খেলার কৌশল নেয়। শুরু থেকে আক্রমণ করে খেললেও ১২ মিনিটে গোল হজম করে পেপ গার্দিওলার দল। দারুণ এক কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গোল করেন রদ্রিগো গোয়েস। দুই লেগ মিলিয়ে রিয়াল ৪-৩ গোলের লিড নেওয়ায় আরও রক্ষণাত্মক খেলতে শুরু করে।

ছোট পাসে খেলা ম্যানসিটি কোনোভাবেই রিয়ালের ওই লো ব্লক ডিফেন্স ভাঙতে পারছিল না। তবে ম্যাচের ৭৬ মিনিটে সমতা সূচক গোলটি করে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন কেভিন ডি ব্রুইনি। বক্স থেকে তাঁর নেওয়া শট ফেরানোর উপায় ছিল না লুনিনের। ১২০ মিনিটের লড়াইয়ে আর কোনো গোল না হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।

টাইব্রেকারে প্রথম শটে গোল পায় ম্যানসিটি। জালে বল পাঠান হুলিয়ান আলভারেজ। কিন্তু শুরুতেই ভুল করে বসে রিয়াল। লুকা মডরিচের শট ফিরিয়ে দেন এদেরসন। কিন্তু পরের দুই শট মিস করেই ম্যাচ হাতছাড়া করে ফেলে সিটিজেনরা।

দ্বিতীয় শট নিতে এসে বেনার্ড সিলভা পানেলকা ধরনের শট নেন। জায়গায় দাঁড়িয়ে থেকে ক্যাচ ধরে ফেলেন রিয়াল গোলরক্ষক লুনিন। পরে নেওয়া মাতেও কোভাসিকের শট লাফিয়ে ফেরান তিনি। অন্য দিকে রিয়ালের হয়ে বেলিংহাম, ভাসকেস, ন্যাচো ও রুডিগার টাইব্রেকারে গোল করে দলকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে তুলে নেন। ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে ব্লাঙ্কোসদের প্রতিপক্ষ বায়ার্ন মিউনিখ। সূত্র : সমকাল