পুলিশের হেফাজতে ভেজাল ওষুধ চক্রের গ্রেপ্তার ৩ সদস্য। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ।

ঢাকার নবাবগঞ্জ থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে ভেজাল ওষুধ বিক্রি চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ ভেজাল ওষুধ উদ্ধার করা হয়েছে।

গত ২৭ মার্চ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

ওই দিন বেলা আড়াইটার সময় নবাবগঞ্জ থানাধীন কলাকোপা ইউনিয়নের কাশিমপুর এলাকার মুক্তি ক্লিনিকের নিচতলা “সৈকত ফার্মেসীর” মালিক মো. শাওনের কাছে উৎপল সরকার নামে এক ব্যক্তি হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড কোম্পানির সারজেল ওষুধ বিক্রি করতে যান। এ সময় দোকানদার উৎপল সরকারের কাছে ওষুধের ক্যাশমেমো চাইলে তিনি তা দিতে অস্বীকৃতি জানান এবং এসব ওষুধ ডিসপ্লেতে সাজানো যাবে না, নিচে রেখে বিক্রি করতে হবে বলে জানালে ফার্মেসির মালিকের সন্দেহ হয়। তিনি নবাবগঞ্জ থানা-পুলিশকে ঘটনাটি জানান।

খবর পেয়ে নবাবগঞ্জ থানার একটি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উৎপল সরকারকে আটক করে ও তার কাছে থাকা ১০ বক্স সার্জেল ২০ মি. গ্রা. (হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লি.) ভেজাল ওষুধ জব্দ করে। পুলিশ কৌশলে উৎপলের সহযোগী প্রকাশ চন্দ্র মজুমদারকে গ্রেপ্তার করে এবং তাঁর কাছ থেকে ৫ বক্স সার্জেল ও ১২ বক্স জিম্যাক্স ৫০০ মি. গ্রা. (স্কয়ার ফার্মা) ভেজল ওষুধ জব্দ করে।

প্রকাশ মজুমদার এর দেওয়া তথ্যমতে নবাবগঞ্জ থানার পুলিশ মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে জামসা বাজারে খান ব্রাদার্সের মালিক নুরুজ্জামান খান’কে গ্রেফতার করা হয় এবং তার ওষুধের দোকানের সাথে একটি আলাদা ঘরে সুকৌশলে লুকিয়ে রাখা ১ লক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন নামীদামি ব্রান্ডের ভেজাল ওষুধ উদ্ধার করা হয়। পরে প্রকাশ মজুমদারের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে আরও বেশ কিছু নামিদামি ব্র্যান্ডের ভেজাল ওষুধ উদ্ধার ও জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তার আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।

পরে হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড এর উপব্যবস্থাপক, লিগ্যাল এ্যাফেয়াস মো. মোজারুল হক তালুকদার বাদী হয়ে নবাবগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন।