শাহিনুর বেগম ও তাঁর ছেলে ও মো. মুনছালিন ওরফে মুছা। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ ।

নড়াইলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা একটি মিথ্যা অপহরণ মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ বুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) যশোর।

জানা গেছে, শাহিনুর বেগম নামের এক নারী তাঁর সাবেক স্বামী সালাউদ্দিন সরদারসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গত বছরের ১২ অক্টোবর নড়াইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নিজের ছেলে মো. মুনছালিন ওরফে মুছাকে (২০) অপহরণ করে ভারতে পাচার করেছে মর্মে মামলা দায়ের করেন।

আদালত মামলাটি পিবিআই, যশোরকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

আদালতের নির্দেশে মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে এসআই (নিরস্ত্র) মো. হাবিবুর রহমানকে নিয়োগ করা হয়। তদন্তকালে তিনি জানতে পারেন, মামলার ভিকটিম তাঁর স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ফরিদপুরে সপরিবারে বসবাস করছেন। এই অবস্থায় পিবিআই যশোরের পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন, পিপিএম-সেবা এর দিকনির্দেশনায় এসআই/ মো. হাবিবুর রহমান, এসআই/ মো. মহিদুল ইসলাম ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ ১৮ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফরিদপুর থেকে ভিকটিম মো. মুনছালিন ওরফে মুছাকে (২০) উদ্ধার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ভিকটিম কোনো ধরনের অপহরণ বা পাচারের শিকার হননি। বাদী বিবাদীদের কাছ থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার আশায় আদালতে মামলা দায়ের করে। বাদী ইতোপূর্বে একই বিবাদীদের বিরুদ্ধে তাঁর মেয়েকে অপহরণসহ পাচারের মামলা করেছিলেন এবং আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করে মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন।

ভিকটিমকে ১৯ ফেব্রুয়ারি নড়াইলের আদালতে হাজির করা হলে তিনি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুয়েল রানার কাছে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক জবানবন্দি দেন।

জবানবন্দিতে ভিকটিম জানান ,তাঁকে অপহরণ করে পাচারের বিষয়টি মিথ্যা।