'মার্কস অ্যাকটিভ স্কুল চেস চ্যাম্পস'-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং আইজিপি, বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সভাপতি ও দক্ষিণ এশীয় চেস কাউন্সিলের সভাপতি ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার)-সহ অতিথিরা। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে পর্দা উঠল ‘হয়ে ওঠো আগামীর গ্র্যান্ডমাস্টার’ শীর্ষক স্কুলভিত্তিক দলগত দাবা প্রতিযোগিতা ‘মার্কস অ্যাকটিভ স্কুল চেস চ্যাম্পস’-এর।

খুদে দাবাড়ুদের সঙ্গে আইজিপিসহ অন্য অতিথিরা। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের আয়োজনে এবং আবুল খায়ের গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় ৪ জুলাই (সোমবার) দেশব্যাপী এ স্কুল দাবা প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেছেন মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। রাজধানীর একটি হোটেলে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ (আইজিপি), বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সভাপতি ও দক্ষিণ এশীয় চেস কাউন্সিলের সভাপতি ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। বাংলাদেশ পুলিশের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মো. কামরুজ্জামান বিপিএম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার)-এর সভাপতিত্বে দাবা প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানসহ অতিথিরা। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন, আবুল খায়ের গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সহসভাপতি আবু সাঈদ চৌধুরী, শেখ রাসেল শিশু-কিশোর পরিষদের মহাসচিব ও বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সহসভাপতি কে এম শহীদুল্লাহ, এশিয়ান জোন ৩.১-এর সভাপতি ও বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাহাব উদ্দিন শামিম, বাংলাদেশ পুলিশের অ্যাডিশনাল ডিআইজি ও বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক ড. শোয়েব রিয়াজ আলম এবং স্কুল কমিটির সদস্য সচিব মাহমুদা হক চৌধুরী মলি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, স্কুল দাবা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দাবাকে আমরা সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে চাই।

উদ্বোধনের পর আইজিপিসহ অন্য অতিথিরা খুদে দাবাড়ুদের সঙ্গে কথা বলেন এবং প্রতিযোগিতার আয়োজন ঘুরে দেখেন। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

যুব ও ক্রীড়া সচিব মেজবাহ উদ্দিন বলেন, জাতীয় পর্যায়ে খেলোয়াড় তৈরি করার লক্ষ্যে স্কুল দাবা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। আমরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দাবা খেলোয়াড় তৈরি করতে চাই, গ্র্যান্ডমাস্টার তৈরি করতে চাই।

আইজিপি ও বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সভাপতি ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) বলেন, আজ একটি বিশেষ দিন। আশির দশকে স্কুল দাবা হয়েছে। ২০১৩ সালের পর থেকে স্কুল দাবা নিয়ে তেমন কোনো কাজ হয়নি। আজ নতুন করে গোড়াপত্তন হলো স্কুল দাবার। এর ফলে দাবার ভিত্তি সুসংহত হবে।

আইজিপি বলেন, আমাদের লক্ষ্য আমরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে দাবার পরাশক্তি হতে চাই। দাবা খেলাকে দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছে দিতে চাই। বর্তমানে স্কুল দাবা প্রতিযোগিতায় চারশ স্কুল এবং দুই হাজার দাবাড়ু অংশগ্রহণ করেছে। যত দিন যাবে স্কুলের সংখ্যা ও দাবাড়ুর সংখ্যা বাড়তে থাকবে।

দাবা ফেডারেশনকে ‘ন্যাশনাল চেস সেন্টারে’ পরিণত করার কথা জানিয়ে আইজিপি বলেন, এটা করতে পারলে সারা বছর দাবাড়ুরা এখানে খেলতে পারবে। তিনি এ প্রতিযোগিতায় শীর্ষ স্থান অর্জনকারী দুজন ছেলে এবং দুজন মেয়েকে তিন মাসের প্রশিক্ষণে স্পেন পাঠানোর ঘোষণা দেন।

আইজিপি খেলোয়াড়দের সাফল্য কামনা করেন এবং স্পন্সর প্রতিষ্ঠানকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে দেশের সব জেলার পুলিশ সুপার, জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তা এবং স্কুলের শিক্ষার্থীরা অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।