সিআইডির অভিযানে গ্রেপ্তার আসামিরা। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

ফেসবুকে লোভনীয় চাকরি, ট্যালেন্ট হান্টিং ও মডেলিংয়ের বিজ্ঞাপন দিয়ে তরুণীদের ব্ল্যাকমেল করে অসামাজিক কাজে বাধ্য করার সিন্ডিকেটের হোতাসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সিআইডি জানায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও টেলিগ্রামে লোভনীয় চাকরি দেওয়া, মডেল বানানো এবং মেধা-অন্বেষণের নামে অল্প বয়সী তরুণীদের কাছ থেকে কৌশলে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও হাতিয়ে নিয়ে তা দিয়ে ব্ল্যাকমেলের মাধ্যমে জোর করে তাদের দেহব্যবসায় নামানোর ভয়ংকর এক চক্রের সন্ধান পায় সিআইডি। মেডিকেল শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান এবং তাঁর খালাতো ভাই শেখ জাহিদ বিন সুজন মিলে এই চক্র গড়ে তুলেছিলেন। চিকিৎসাবিদ্যার আড়ালে অল্প বয়সী তরুণীদের ফাঁদে ফেলে যৌন নির্যাতনের পাশাপাশি অ্যাডাল্ট কনটেন্ট তৈরি ও টেলিগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ ও ম্যাসেঞ্জারে এ-সংক্রান্ত সার্ভিস প্রদান করে গত সাত বছরে তাঁরা প্রায় ১০০ কোটি টাকা আয় করেছেন।

সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের একটি চৌকস দল গতকাল মঙ্গলবার যশোর, সাতক্ষীরা, চাঁদপুর ও ঢাকা থেকে চক্রের হোতা মেহেদী হাসান (২৫) ও তাঁর প্রধান সহযোগী শেখ জাহিদ বিন সুজন (২৬), জাহিদ হাসান ওরফে কাঁকন (২৮), তানভীর আহমেদ ওরফে দীপ্ত (২৬), সৈয়দ হাসিবুর রহমান (২৭), শাদাত আল মুইজ (২৯), সুস্মিতা আক্তার ওরফে পপি (২৭) ও নায়না ইসলাম (২৪)।