ঈদ-পূর্ববর্তী পশুর হাটের নিরাপত্তা প্রদান, সম্মানিত নাগরিকদের নিরাপদ ভ্রমণে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, টানা দায়িত্ব পালন, রোদ-বৃষ্টি-ঝড়ে দিনরাত জেগে নাগরিক সেবায় নিয়োজিত থেকে কুড়িগ্রামের সম্মানিত নাগরিকদের অধিকতর আনন্দময় ঈদুল আজহা উপহার দিতে কঠোর পরিশ্রম করে চলেছেন জেলা পুলিশের সদস্যরা। ছুটি না নিয়ে নাগরিক সেবায় নিবেদিত থেকে ভুলে গেছেন নিজের পরিবার, আত্মীয়স্বজন; ভুলে গেছেন নিজের জন্য ঈদ আয়োজন।

তাই ক্ষণিকের জন্য হলেও জেলা পুলিশের সদস্যরা নিজেরাই একত্র হয়েছেন। আয়োজন করেছেন নিজেদের জন্য ঈদের প্রীতিভোজ। এই ক্ষণিক আনন্দ আয়োজনে জেলা পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে উপস্থিত থেকে ও প্রীতিভোজে অংশ নিয়েছেন কুড়িগ্রামের শ্রদ্ধাভাজন ও সম্মানিত সুধীজন। উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. হামিদুল হক খন্দকার, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আলমগীর কবির, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ, পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আ ন ম ওবাইদুর রহমান, পৌর মেয়র কাজিউল ইসলাম, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মির্জা মো. নাসির উদ্দীন, পাবলিক প্রসিকিউটর এস এম আব্রাহাম লিংকন, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিরাজুল ইসলাম টুকু, সাবেক সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল বাতেন, রামকৃষ্ণ আশ্রমের ট্রাস্টি উদয় শংকর চক্রবর্ত্তী, প্রেসক্লাবের সভাপতি রাজু মোস্তাফিজসহ অন্য ব্যক্তিরা।

কুড়িগ্রাম-১, কুড়িগ্রাম-৩ ও কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য পারিবারিক কাজে ব্যস্ত থাকায় উপস্থিত হতে না পারলেও পুলিশ সদস্যদের ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম সকল অফিসার ও ফোর্সের পক্ষ থেকে অতিথিদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

কুড়িগ্রামের সকল থানা ফাঁড়ি তদন্তকেন্দ্রেও একই সঙ্গে একই মেনুতে একই সময়ে জেলা পুলিশের পক্ষ প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়।

প্রীতিভোজ শেষে ঈদ উপলক্ষে যাতে কোনো সামাজিক ও ফৌজদারি অপরাধ না ঘটে, সে লক্ষ্যে আবারও মাঠে নেমে পড়েন কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের সদস্যরা।