কুড়িগ্রামের দুর্গম চরাঞ্চলে ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে জেলা পুলিশ।
গত ২৫ অক্টোবর সকাল ছয়টার দিকে কুড়িগ্রাম সদর থানাধীন চরকুমরেরবস গ্রামের ছবিরন বেওয়াকে (৮০) তাঁর শয়নকক্ষে গলা কেটে হত্যা অবস্থায় দেখে কুড়িগ্রাম থানায় খবর দেয় তাঁর পরিবারের লোকজন। ঘটনাস্থলে পুলিশ ছবিরন বেওয়াকে গলা কাটা রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পায়। পরবর্তী সময়ে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে মো. সৈয়দ আলী মুন্সি (৫৫) কুড়িগ্রাম থানায় মামলা করেন। সেই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে, বিধবা ছবিরন বেওয়া (৮০) অসহায় ও হতদরিদ্র বৃদ্ধা। কুড়িগ্রামের দুর্গম চর কুমরেরবস গ্রামে তাঁর বাস ছিল। গরু-ছাগল বিক্রির ৪৫ হাজার টাকাই ছিল তাঁর জীবনের শেষ সম্বল। তিনি কখনোই এই টাকা হাতছাড়া করতেন না। নিজ কোমরে গুঁজে রাখতেন। অবশেষে টাকাই তাঁর জীবনের কাল হয়ে দাঁড়ায়। মাত্র ৪৫ হাজার টাকার জন্য প্রতিবেশী নাতি মো. মাইদুল ইসলামের (২২) হাতে খুন হতে হয় ছবিরন বেওয়াকে।
গ্রেপ্তারের পর মাইদুল আদালতে পাঠানো হয়েছে। তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।