মা ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি ও সংরক্ষণের লক্ষ্যে দেশে ৭ থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ আহরণ, মজুদ, কেনাবেচা ও পরিবহন নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে গত ৭ দিনে ২৬৬টি অভিযান চালিয়ে ৬ কোটি ১৮ লাখ ৩১ হাজার ৮৭০ মিটার কারেন্ট জাল, ১১৫টি বেহুন্দি জাল, ৪ হাজার ৪৩০ কেজি ইলিশ ও ১৩৪টি নৌকা জব্দ করেছে নৌ পুলিশ।
৭ থেকে ১৩ অক্টোবর দুপুর ১২টা পর্যন্ত বরিশাল নৌ অঞ্চলে এই অভিযান চালানো হয়।
নৌ পুলিশ জানায়, সরকারি নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করতে বরিশাল নৌ অঞ্চলে ১৫টি স্থায়ী এবং ৫টি অস্থায়ীসহ মোট ২০টি থানা ও ফাঁড়ির প্রায় ৫০০ পুলিশ সদস্য নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রতিদিন গড়ে ৪২টি দল দিন-রাত অভিযান চালিয়েছে।
গত ৭ দিনে জব্দ করা জালের আনুমানিক দাম ১৯৩ কোটি ৮ লাখ ৫০ হাজার ৬০০ টাকা, ইলিশের দাম ১৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা। পরে এসব জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় এবং মাছ স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ করা হয়। জব্দ করা নৌকা পুলিশি হেফাজতে রয়েছে।
৩৬৩ জেলে গ্রেপ্তার
গত ৭ দিনের অভিযানে ৩৬৩ জন জেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মৎস্য আইনে তাঁদের বিরুদ্ধে ২৫টি এবং সরকারি কাজে বাধা দেওয়ায় ভোলায় একটি মামলা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১৪৫ জন জেলেকে এক বছর করে কারাদণ্ড, একজনকে ২০ দিন, চারজনকে ১০ দিন, একজনকে ৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ৬০ জেলেকে ২ লাখ ২৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া ১০২ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বিশেষ অভিযান
নৌ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের অতিরিক্ত ডিআইজি (দক্ষিণ) মো. কাইয়ুমুজ্জামান খান বিপিএম, পিপিএম এবং পুলিশ সুপার (অপারেশনস অ্যান্ড ইন্টেলিজেনস) আ ক ম আকতারুজ্জামান বসুনিয়ার নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশনস অ্যান্ড ইন্টেলিজেনস) মো. মাহফুজ্জামান, পটুয়াখালী জোনের সহকারী পুলিশ সুপার মোহা. আহসান হাবীব পিপিএম ১২ অক্টোবর বরিশালের কালীগঞ্জ ও হিজলা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির আওতাধীন নদীতে অভিযান চালান।
পরদিন ১৩ অক্টোবর বরগুনার পাথরঘাটা থানাধীন চরদুয়ানী ও কাকচিড়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির আওতাধীন নদীতে বিশেষ অভিযান চালানো হয়। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানায় নৌ পুলিশ।