চুয়াডাঙ্গা সদর থানা-পুলিশের হেফাজতে প্রতারক চক্রের ৩ সদস্য। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

ফেসবুকে এক নারীর সঙ্গে মতিউর রহমান নামে এক ব্যক্তির পরিচয় হয়। প্রেমের ফাঁদে ফেলে একপর্যায়ে ওই নারী মতিউরকে একটি বাসায় আসতে বলেন। মতিউর বাসায় এলে ওই নারীসহ পাঁচজন তাঁকে জিম্মি করে লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। ২৮ হাজার টাকা দিয়ে ছাড়া পান ভুক্তভোগী। এরপর মতিউর এ ঘটনায় মামলা করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।

জানা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার তারাপুর গ্রামের মৃত নওশাদ আলীর ছেলে মতিউর রহমান (৩২) বর্তমানে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা হঠাৎপাড়ায় বাসবাস করছেন। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার জীনতলা মল্লিকপাড়া নয়নের স্ত্রী বৃষ্টি খাতুনের সঙ্গে মতিউরের কিছুদিন আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয়। একপর্যায়ে মতিউরকে প্রেমের ফাঁদে ফেলেন বৃষ্টি। প্রতারণার ফাঁদ পেতে বৃষ্টি ২৬ মে সন্ধ্যা ৭টার দিকে মতিউরকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার বাগানপাড়ার বাসায় আসতে বলেন।

ভুক্তভোগী বৃষ্টি খাতুনের বাসায় এলে নয়ন (৩২), স্বপন (২৯), আসিফ আহম্মদ ওরফে প্লাবন (২৬), বৃষ্টি খাতুন (২৭) ও মিথিলা (২৩) পূর্বপরিকল্পিতভাবে মতিউরকে জিম্মি করে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। একপর্যায়ে ২৮ হাজার টাকা দিলে প্রতারক চক্রের সদস্যরা মতিউরকে মুক্তি দেন। ওই পাঁচজনসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনের নামে ভুক্তভোগী মতিউর চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার পর জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাব্বুর রহমানকে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে বলেন। পরে ওসি মাহাব্বুর রহমানের নেতৃত্বে এসআই মাসুদ রানা সঙ্গীয় ফোর্সসহ বুধবার (৩১ মে) সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা সদরের জীনতলা মল্লিকপাড়ায় অভিযান চালিয়ে বৃষ্টি খাতুন, নয়ন ও আসফি আহম্মদ ওরফে প্লাবনকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তারদের বাড়ি জীনতলা মল্লিকপাড়ায়।