উদ্ধার হওয়া ১৫ জেলে। ছবি : পুলিশ নিউজ

জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল করে বঙ্গোপসাগরে বিকল ট্রলারে তিন দিন ধরে ভাসতে থাকা ১৫ জন জেলেকে উদ্ধার করেছে ভাসান চর কোস্টগার্ড।

জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর ইন্সপেক্টর (টাউন অ্যান্ড ট্রাফিক) আনোয়ার সাত্তার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়।

রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় ৯৯৯-এ কল করেন জুয়েল নামের এক জেলে। কলটি গ্রহণ করেন কনস্টেবল রবিউল হোসেন।

জুয়েল জানান, তিনিসহ মোট ১৫ জন জেলে একটি ট্রলারে নোয়াখালীর হাতিয়া থেকে ২০ সেপ্টেম্বর (সোমবার) মেঘনা নদীতে দুদিন মাছ ধরেন। এরপর তাঁরা সাগরে যান। গত বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) তাঁদের ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়। অনেক চেষ্টা করেও তাঁরা ইঞ্জিন ঠিক করতে পারেননি। মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কের আওতার বাইরে থাকায় কাউকে বিপদের কথাও জানাতে পারেননি। এরপর তাঁরা সাগরে ভাসতে থাকেন।

ভুক্তভোগী জেলে জানান, তিন দিন বিকল নৌযান নিয়ে সাগরে ভাসার পর রোববার বিকেলে তাঁরা মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় আসেন। এরপর তিনি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান।

জুয়েল জানান, তাঁরা ভাসান চরের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বঙ্গোপসাগরে আছেন।

খবর পেয়ে ৯৯৯ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি কোস্টগার্ড নিয়ন্ত্রণকক্ষ এবং ভাসান চর কোস্টগার্ডকে জানিয়ে উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। ৯৯৯ পুলিশ ডিসপাচার এএসআই (সহকারী উপপরিদর্শক) মো. তৌহিদুল ইসলাম কোস্টগার্ড এবং কলারের সঙ্গে যোগাযোগ করে উদ্ধার তৎপরতার আপডেট নিতে শুরু করেন।

৯৯৯ থেকে খবর পেয়ে ভাসান চর থেকে কোস্টগার্ডের একটি উদ্ধারকারী দল রওনা দেয়। সমুদ্রে একটি বিকল নৌযান চিহ্নিত করা ছিল কঠিন কাজ। অবশেষে সন্ধ্যার দিকে কোস্টগার্ড বিকল নৌযানটিকে খুঁজে পায়। এরপর সেই নৌযানসহ ১৫ জন জেলেকে উদ্ধার করে নিরাপদে ভাসান চরে নিয়ে আসা হয়ে।

কোস্টগার্ড উদ্ধারকারী দলের সদস্য ভাসান চর কোস্টগার্ডের জেসিও শফিক ৯৯৯-কে ফোনে উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, বিকল ট্রলারটি ভাসান চর উপকূল থেকে বঙ্গোপসাগরে ১৫/২০ কিলোমিটার দূরত্বে ছিল।