এপিবিএনের হেফাজতে চোরাই মোবাইল ফোনসহ গ্রেপ্তার তিন আসামি। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

২ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অভিযান চালিয়ে চোরাই মোবাইল ফোন বেচাকেনা চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। জব্দ করেছে ৫৫টি চোরাই মোবাইল ফোন।

২ এপিবিএনের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) আলী আহমদ খানের সার্বিক দিকনির্দেশনায় অপস্ অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স শাখার অভিযান শাখার একটি টিম ২৫ মার্চ ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালায়। টিমটি ওই থানাধীন মধ্যহিস্যা মোড়ে অবস্থানকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, বড়হিস্যা বাজারের পৌরসভা মার্কেটের সামনে কয়েকজন ব্যক্তি চোরাই মোবাইল কেনাবেচা করছেন। এপিবিএনের টিম ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করে সংবাদের সত্যতা যাচাই এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বড়হিস্যা বাজারের পৌরসভা মার্কেটের মো. শফিক আহম্মেদ শান্তর মোবাইল সিটি নামক দোকানের সামনে থেকে সাব্বির মির্জা (২৪) নামের এক যুবককে আটক করে। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি স্বীকার করেন, তাঁর কাছে চোরাই মোবাইল ফোন আছে। এসব ফোনের মধ্যে কিছুসংখ্যক মো. রাসেল আহম্মেদ (৩০) নামের একজনের কাছ থেকে চোরাই মোবাইল হিসেবে অল্প দামে কিনেছেন।

সাব্বির মির্জার দেওয়া তথ্যমতে এ ইউনিটের সাইবার ক্রাইম সেল উন্নত তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রাসেল আহম্মেদের বর্তমান অবস্থান শনাক্ত করে ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া থানাধীন তেলিগ্রাম বাজার থেকে তাঁকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে রাসেল সাব্বির মির্জার কাছ থেকে জব্দ করা মোবাইলের মধ্যে কিছুসংখ্যক মোবাইল বিভিন্ন সময়ে চোরাই হিসেবে কিনে মো. সাকিব (২১) নামে একজনের কাছ থেকে লক খুলে মূল আইএমইআই পরিবর্তন করে সাব্বিরসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে আসছিলেন মর্মে স্বীকার করেন। রাসেলের দেওয়া তথ্যমতে এ ইউনিটের সাইবার ক্রাইম সেল উন্নত তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মো. সাকিবের বর্তমান অবস্থান শনাক্ত করে ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া থানাধীন বাবুগঞ্জ বাজার থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
আটক আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মোবাইল চুরি করে আসছিলেন এবং চোরাই মোবাইলগুলো নিজেদের হেফাজতে রেখে বিভিন্ন লক ছাড়ানোর অ্যাপস/টুলস ব্যবহার করে মোবাইলের লক খুলে মূল আইএমইআই পরিবর্তন করে কেনাবেচা করে আসছিলেন।

তাঁদের কাছ থেকে মোট ৫৫টি চোরাই মোবাইল, ১টি সিপিইউ, ১টি মনিটর এবং ১টি J TAG PLUS যন্ত্র উদ্ধার করা হয়।

পরে আটক আসামিদের বিরুদ্ধে মুক্তাগাছা থানার মামলা নিয়মিত মামলা করা হয়।