যুদ্ধবিরতি শুরুর পর গাজায় সড়কে হাঁটছেন ফিলিস্তিনিরা। ছবি: সংগৃহীত

যুদ্ধবিরতির প্রথম দিন ১৩ জন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার কথা থাকলেও তার প্রায় দ্বিগুণ সংখ্যক জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। গতকাল শুক্রবার ২৪ জন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়। শুক্রবার বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া চুক্তি অনুযায়ী শুক্রবার ইসরায়েলের কারাগার থেকে ৩৯ ফিলিস্তিনিকেও মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই ২৪ জনের মধ্যে ১৩ জন ইসরায়েল, ১০ জন থাইল্যান্ড এবং ১ জন ফিলিপাইনের নাগরিক। গাজা ও মিসরের সীমান্তপথ রাফাহ বর্ডার ক্রসিংয়ে মিসরের সরকার এবং আন্তর্জাতিক রেডক্রস ও রেডক্রিসেন্ট কমিটির (আইসিআরসি) প্রতিনিধিদের কাছে এই জিম্মিদের হস্তান্তর করা হয়েছে। ৪টি গাড়িতে এই জিম্মিদের নিয়ে আসা হয়েছিল।

এদিকে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে ৩৯ জন ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে এ যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। কাতারের মধ্যস্থতায় হওয়া চুক্তির শর্ত ছিল, প্রথমদিন হামাস ১৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে; অপরদিকে ইসরায়েল তাদের কারাগার থেকে ৩৯ ফিলিস্তিনিকে ছেড়ে দেবে।

ইসরায়েলের বন্দিদশা থেকে ফিলিস্তিনিদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি বলেন, চুক্তি অনুযায়ী ইসরায়েল ৩৯ জনকে মুক্তি দিয়েছে।

জিম্মিরা মুক্ত হওয়ার পর তাৎক্ষণিক এক বার্তায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমরা কেবলমাত্র জিম্মিদের প্রথম ব্যাচকে মুক্ত করতে পেরেছি। আমরা প্রত্যেক জিম্মিকে মুক্তি দিয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সেই প্রতিশ্রুতি আমরা রক্ষা করব।’

যে ১৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে ৪ শিশু, তাদের ৪ জন মা এবং ৫ জন বয়স্ক নারী রয়েছেন। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরায়েলের ভূখণ্ডে প্রবেশের পর এই ১৩ জনের প্রাথমিক শারীরিক পরীক্ষা করা হবে। তারপর পাঠানো হবে বিভিন্ন হাসপাতালে। জিম্মিদের স্বজনরা সেসব হাসপতালে তাদের জন্য অপেক্ষা করছেন।

নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে ইসরায়েলের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের হাইকমান্ড ইসরায়েলের ‍যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার কাছে যুদ্ধবিরতির যে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল, তার ভিত্তিতেই শুক্রবার গাজায়। সূত্র: ঢাকা পোস্ট