স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ও ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্যসচিব মো. শামসুল হক। ছবি : সংগৃহীত

পর্যাপ্ত সুবিধা না থাকায় ১২টির পরিবর্তে আগামীকাল সোমবার (১ নভেম্বর) থেকে ঢাকার ৮টি কেন্দ্রে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

আজ রোববার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত ভার্চ্যুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে অধিদপ্তরের পরিচালক ও ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্যসচিব মো. শামসুল হক এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর দ্য ডেইলি স্টারের।

তিনি বলেন, রাজধানীর ৮টি স্কুলকে ক্লাস্টার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলো হলো—হার্ডকো ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, সাউথপয়েন্ট ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, চিটাগং গ্রামার স্কুল, মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মিরপুরের কমার্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ধানমন্ডির কাকলী হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, উত্তরার সাউথ ব্রিজ স্কুল এবং মিরপুরের স্কলাস্টিকা স্কুল।

শামসুল হক বলেন, ‘আগামীকাল সকাল সাড়ে ৯টায় মতিঝিলে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে এই টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। এসব কেন্দ্রে ২৫টি করে বুথ স্থাপন করা হয়েছে। এই কেন্দ্রগুলোতে শিক্ষার্থীদের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত ফাইজার ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। ফাইজার ভ্যাকসিন আমাদের হাতে এসেছে। মানিকগঞ্জে আমরা প্রাথমিকভাবে ১২০ শিশুকে টিকা দিয়েছিলাম। তাদের কারও কোনো সমস্যা হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘যে ৮টি কেন্দ্র নির্বাচন করা হয়েছে, সেখানে ওই কেন্দ্রগুলোর শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি আশপাশের নিবন্ধিত শিক্ষার্থীদের টিকা দিতে পারবেন। ফাইজার ভ্যাসকিনটি তাপমাত্রা-সংবেদনশীল। যে কেন্দ্র, যে বুথে এই টিকা দিতে হয়, সেটা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হতে হয়। এই ভ্যাকসিন তৈরি করার জন্য যে ডায়লুয়েন্ট লাগে, সেটা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে রাখতে হয়। এই দুটি বিষয় বিবেচনা করে যেখানে আমাদের এই সুযোগ আছে, সেই স্কুলগুলো নির্বাচন করা হয়েছে। কারণ, আমাদের লক্ষ্য হলো, প্রতিদিন যেন ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার শিশুকে টিকা দিতে পারি।’