খুলনার লবণচরায় হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছবি: পুলিশ নিউজ

হত্যা মামলা দায়েরের মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে প্রধান আসামি মো. আরাফাত হোসেনকে (১৯) গ্রেপ্তার করেছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) লবণচরা থানার একটি দল।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) লবণচরা থানা এলাকার মোহাম্মদনগর থেকে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আসামি মো. আরাফাত হোসেন পাইকগাছা থানার লস্কর সানাপাড়ার বাসিন্দা। লবণচরা থানা এলাকার ওয়াজেদনগরের একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন তিনি।

জিজ্ঞাসাবাদে আসামি জানান, মেসার্স সোহেল এন্ড রিফাত এন্টারপ্রাইজ নামক প্রতিষ্ঠানে আসামি মো. আরাফাত হোসেন কোকাকোলা সরবরাহের কাজ করতেন। অন্যদিকে, একই মালিকের এম আর এন্টারপ্রাইজ নামক অটো চার্জিং পয়েন্টে ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন ভুক্তভোগী মো. শামীম (২০)। প্রতিষ্ঠানটির মালিক সোহেল রানা গত ১৩ সেপ্টেম্বর আরাফাতকে চাকরিচ্যুত করেন। এরপর আরাফাতের কাজের দায়িত্বও শামীমকে দেন। এতে ক্ষিপ্ত হন আসামি আরাফাত। গত ১৫ সেপ্টেম্বর আরাফাতকে ২০০ টাকা দিয়ে গাঁজা আনতে বলেন শামীম। তবে গাঁজা না এনে সেই টাকা খরচ করে ফেলেন আরাফাত। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এর জেরে শামীমকে হত্যার পরিকল্পনা করেন আরাফাত। পরিকল্পনা অনুযায়ী, গত ১৬ সেপ্টেম্বর এম আর এন্টারপ্রাইজ অটো চার্জিং পয়েন্টে শামীমের সঙ্গে রাত কাটান আরাফাত। শামীম ঘুমিয়ে পড়লে গলায় গামছা প্যাঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন আরাফাত। এরপর শামীমের দুটি মোবাইল ফোন এবং তাঁর কাছে থাকা দোকানের চাবি নিয়ে নেন। পরে মেমার্স রিফাত এন্ড সোহেল এন্টারপ্রাইজের তালা খুলে ২১ হাজার ৩৭১ টাকা ও সিসি ক্যামেরার ডিভিআর নিয়ে পালিয়ে যান। এরপর ডিভিআরটি পার্শ্ববর্তী ময়ূর নদীতে ফেলে দেন।

পুলিশ জানায়, প্রযুক্তির সাহায্য ও বিশ্বস্ত সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে আসামি আরাফাতকে মোহাম্মদনগর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আরাফাতের ওয়াজেদনগরের বাসা থেকে দুটি মোবাইল ফোন ও টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি টিমের সহায়তায় ময়ূর নদীর হাতিয়া ব্রিজের নিচ থেকে ডিভিআরটি উদ্ধার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে আসামি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। পরে আদালতে সোপর্দ করলে আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।