ওয়াকার ইউনিস

পাকিস্তান ক্রিকেট টিমের পারফরম্যান্সের মতোই যেন দলটির কোচদের অবস্থা। মাঠের খেলায় ম্যাচের খাদের কিনারা থেকে উঠে এসে যেমন জিততে পারে অননুমেয় এই দলটি, তেমনি জয়ের দ্বারপ্রান্তে থেকেও ম্যাচ হেরে মাঠ ছাড়ে তারা। তেমনি কোচও আজ আছেন তো কাল নেই!

সেই ধারাবাহিকতা রেখেই যেন সপ্তাহ দেড়েক আগে আচমকা সিদ্ধান্তে পদত্যাগ করেন পাকিস্তান ক্রিকেট দলের হেড কোচ মিসবাহ উল হক ও বোলিং কোচ ওয়াকার ইউনিস। পদত্যাগের পর সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেননি দেশটির কিংবদন্তি পেসার ওয়াকার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এই পদত্যাগে নানা গুঞ্জন ওঠে। তবে শুরুতে এ বিষয়ে মুখ খোলেননি ওয়াকার। অবশেষে মুখ খুললেন তিনি। পাকিস্তানি দৈনিক জংয়ে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওয়াকার জানিয়েছেন, বোর্ডের পক্ষ থেকে বরখাস্ত করার আগেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।

ওয়াকারের ভাষ্য, ‘মিসবাহ পদত্যাগ করার পর আমার বোলিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব চালিয়ে নেওয়ার কোনো যৌক্তিকতাই ছিল না। আমাদের বরখাস্ত করার আগেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
এর বাইরে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে টানা জৈব সুরক্ষাবলয়ে থাকার মানসিক ধকলটাও পদত্যাগের একটি কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন ওয়াকার। তাঁর মতে, ক্রিকেট বোর্ড এবং দলে এখন যাঁরাই দায়িত্ব নেবেন, তাঁরা ভিন্ন দল নিয়ে পরিবর্তন আনবেন।

পাকিস্তানের দল বাছাইয়ে কোনো প্রভাব ছিল না জানিয়ে ওয়াকার বলেন, ‘কখনো দল বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আমার কোনো প্রভাব ছিল না। মানুষ সব সময় এটা মনে করেছে যে দল বাছাইয়ের ক্ষেত্রে হয়তো আমার হাত রয়েছে। কিন্তু আসলে তা নয়।’

এ সময় পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াডের প্রশংসা করেন এ কিংবদন্তি পেসার। তাঁর মতে, দলের সব সদস্যই প্রতিভাবান এবং অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের মিশেলে দলটি বেশ ভালো হয়েছে।

তাঁর ভাষ্য, ‘আমি এখন কারও সমালোচনা করার মতো অবস্থানে নেই। পাকিস্তান ক্রিকেটে শোয়েব মালিক সবচেয়ে ফিট ক্রীড়াবিদ। অন্যদিকে আজম খান অনেক প্রতিভাবান ক্রিকেটার।’