পুলিশি হেফাজতে আসামি। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

নোয়াখালীতে চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস মো. মঈন উদ্দিন (৪৫) হত্যাকাণ্ডের রহস্য ১২ ঘণ্টায় উদ্ঘাটন করেছে সেনবাগ থানা-পুলিশ।

এ ঘটনায় সোমবার (৭ আগস্ট) ভুক্তভোগীর স্ত্রী রজ্জবের নেছা রিনাকে (৩৬) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি।

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন জানান, ভুক্তভোগী মঈনের বাড়ি সেনবাগের হরিণকাটা এলাকায়। দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রামে ব্যবসা করেন তিনি। ২ আগস্ট চট্টগ্রাম থেকে নিজ বাড়িতে আসেন মঈন। ৬ আগস্ট দিবাগত রাতে তাঁকে হত্যা করা হয়।

ওসি আরও জানান, খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। জিজ্ঞাসাবাদে অসংলগ্ন কথাবার্তা বলেন মঈনের স্ত্রী। সন্দেহ হওয়ায় তাঁকে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে পরকীয়া প্রেমিক মো. মাসুদের (৩৫) সহযোগিতায় মঈনকে হত্যার কথা স্বীকার করেন রিনা।

রিনা জানান, ২০০৬ সালে মঈনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। মাসুদের সঙ্গে মাছের ব্যবসা করতেন মঈন। সেই সূত্র ধরেই মাসুদের সঙ্গে তাঁর পরিচয়। একপর্যায়ে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। বিষয়টি জানাজানি হলে মাসুদের সঙ্গে মঈনের সম্পর্কের অবনতি হয়। এরই ধারাবাহিকতায় মঈনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন মাসুদ।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, ৬ আগস্ট ঘুমের ওষুধমিশ্রিত দুধ পান করানো হয় মঈনকে। তিনি অচেতন হয়ে পড়লে রাত ৩টার দিকে মুখোশ পরা দুই ব্যক্তি তাঁদের বাড়িতে আসেন। একপর্যায়ে তাঁরা মঈনকে চাপাতি ও কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন।

ওসি ইকবাল হোসেন জানান, মঙ্গলবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আসামি রিনা। হত্যাকাণ্ডে জড়িত অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।