গ্রেপ্তার তিন আসামি। ছবি : সমকাল

নাটোরের গুরুদাসপুরে সাংবাদিকদের ওপর হামলার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ রোববার ভোররাতে গুরুদাসপুরের পার্শ্ববর্তী তাড়াশ উপজেলার মান্নাননগর থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। খবর সমকালের।

গুরুদাসপুর থানার ওসি মো. আব্দুল মতিন বলেন, গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন— নহর মোল্লা (২০), জুয়েল রানা (২৮) ও মো. সুমন (৩০)। তাঁদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ওসি বলেন, মামলার প্রধান আসামি গুরুদাসপুর পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নান্নু মোল্লা এখনো গ্রেপ্তার হননি। তাঁকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, গত শনিবার রাতে আহত সাংবাদিক নাজমুল হাসান নাহিদ মামলা করেন। এতে গুরুদাসপুর উপজেলা সদরের চাঁচকৈড় বাজারপাড়া এলাকার নাসির মোল্লার দুই ছেলে নান্নু মোল্লা (৩৫) ও নহর মোল্লা (২০), জুয়েল রানা ও মকিমপুরের মো. সুমনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়। এ ছাড়া অজ্ঞাত আরও ১০ জনকে আসামি করা হয়।

যা ঘটেছিল

গত ৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় সমকাল পত্রিকার গুরুদাসপুর প্রতিনিধি নাজমুল হাসান নাহিদসহ গুরুদাসপুর উপজেলায় কর্মরত ১১ সাংবাদিক দুর্বৃত্তের হামলায় আহত হন। উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের দুর্গাপুর স্লুইস গেট এলাকায় পৌর সদরের চাঁচকৈড় মোল্লাপাড়ার নাছির মোল্লার ছেলে নান্নু মোল্লার নেতৃত্বে এ হামলা হয় বলে অভিযোগ।

হামলায় নাজমুল হাসান নাহিদের বুকের দুটি হাড় ভেঙে যায়। তিনি বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আহত অন্যদের মধ্যে আছেন—ইত্তেফাকের মো. রাশিদুল, মোহনা টেলিভিশনের মিজানুর রহমান, এশিয়ান টেলিভিশনের মেহেদী হাসান তানিম, আমার সংবাদের আব্দুস সালাম, সংবাদের সাকিল, আজকের দর্পণের জুয়েল হাসান টিপু, বাংলাদেশের খবরের আবু হেনা মোস্তফা কামাল।

আহত সাংবাদিকরা জানান, গুরুদাসপুর প্রেস ক্লাবের সদস্যরা পুকুর খননের সংবাদ সংগ্রহে দুর্গাপুর স্লুইস গেট এলাকার হাঁড়িভাঙ্গা বিলে যান। সেখানে স্থানীয় প্রভাবশালী নান্নু মোল্লা লোকজন দিয়ে অন্যের ক্ষেত নষ্ট করে ১৫ বিঘা জমিতে পুকুর খনন করছিলেন। বিষয়টি সাংবাদিকরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুলে ধরলে নান্নু মোল্লা হুমকি দেন। একপর্যায়ে নহর মোল্লা, জুয়েল মোল্লা, মো. সুমনসহ ১০-১২ সহযোগী নিয়ে নান্নু হামলা চালান। তাঁরা নাহিদকে সড়কে ফেলে এলোপাতাড়িভাবে পিটিয়ে জখম করেন।